রাহুল গান্ধী ভারতীয় নন ? নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠল পাসপোর্ট চাইতে গিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সাংসদ পদ আর নেই, তাই ছাড়তে হচ্ছে একের পর এক সুযোগ-সুবিধা। চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আদালতে জমা দিয়ে আসেন তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট । সাংসদ হওয়ার দরুণ এতদিন তিনি এই পাসপোর্টই ব্যবহার করতেন, কিন্তু সাংসদ পদ না থাকায় সেই পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে এসেছেন। সেইসঙ্গেই আবেদন জানিয়েছিলেন সাধারণ পাসপোর্টের। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেটে’র আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু সেই পাসপোর্ট পাওয়াতেই বাধা হয়ে দাঁড়াল। অনিশ্চিত হয়ে গেল রাহুলের বিদেশযাত্রা। কারণ রাহুলের ‘এনওসি’ আবেদনের বিরোধিতা করলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মন্যম স্বামী । ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলের বিরুদ্ধে অন্যতম মামলাকারী ছিলেন তিনিই।
চলতি সপ্তাহেই দিল্লি আদালতে কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দিয়ে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন জানিয়ে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তার প্রেক্ষিতেই আদালতের তরফে অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন বৈভব মেহতা এই বিষয়ে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণম স্বামীর কাছ থেকে জবাব জানতে চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা আদালতে তাঁর জবাব দাখিল করেন। তাতে তিনি রাহুলের এনওসি সার্টিফিকেটের বিরোধিতা করে জানান, আগামী ১০ বছরের জন্য কেন রাহুল গান্ধীকে পাসপোর্ট দেওয়া হবে, তার যথাযোগ্য ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
আদালতে জমা দেওয়া চিঠিতে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান, এক দশকের জন্য পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য যা যা যোগ্যতা প্রয়োজনীয়, তা রাহুল গান্ধীর মধ্যে নেই। ন্যায়বিচার হিসাবে যদি রাহুল গান্ধীকে সাধারণ পাসপোর্ট দেওয়া হয়, তার মেয়াদ যেন এক বছরের বেশি না হয়। প্রতি বছর রাহুল গান্ধীর আদালতে এসে পাসপোর্ট রিনিউ করানোর নির্দেশ দেওয়া উচিত।
বিজেপি নেতা জানান, সকলের পাসপোর্ট থাকা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। জাতীয় সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা বা অপরাধ দমন করতে সরকার চাইলেই কারোর পাসপোর্ট ইস্য়ুতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আরও অভিযোগ, সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তার নাগরিকত্ব নিয়ে তথ্য জানার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল এবং ১৫ দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছিল। রাহুল গান্ধী সেই নোটিসেরও জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, ২০০৩ সালে ব্রিটেনে রেজিস্টার হওয়া একটি সংস্থা, ব্য়াকপ লিমিটেডের ডিরেক্টর ও সেক্রেটারি হিসাবে রাহুল গান্ধীর নামের উল্লেখ ছিল। তদন্তে জানা যায়, সেখানে রাহুল গান্ধী নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসাবে দাবি করেছেন। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠানো হয়।