এবার জোর জলঘোলা বিরোধী জোটেও , কংগ্রেসকে মানলেও কে চন্দ্রশেখর নেতা মানতে নারাজ রাহুলগান্ধী কে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তেলেঙ্গানার ক্ষমতাশীল দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নেতৃত্ব দিয়েছিল একটি অবিজেপি এবং অকংগ্রেসি ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ এর প্রচারের জন্য। তারা এখন সরে এসেছে সেই অবস্থান থেকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিআরএস জানিয়েছে তারা কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোটে যোগ দিতে রাজিও বলে। কিন্তু, বিআরএস জানিয়েছে বিরোধী জোটের মুখ রাহুল গান্ধীকে করা হলে তাদের আপত্তি রয়েছে বলেই ।
বিআরএসের শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা এও মনে করছেন, তাঁর নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও একটিই কারণে কেসিআর কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে রাজি হয়েছেন। তা হল, বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার আঞ্চলিক দলগুলোর ওপর প্রবল চাপ তৈরি করেছে।
এদিকে দিল্লির মদ নীতির মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন কেসিআরের মেয়ে তথা প্রাক্তন সাংসদ কে কবিতা। এই ব্যাপারে ভারত রাষ্ট্র সমিতির এক প্রবীণ নেতা বলেন, ‘যেভাবে বিরোধী নেতাদের এবং যে কোনও ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো , খুব শীঘ্রই আমরা পাকিস্তানের মত হয়ে যাব। সেখানে বিরোধী নেতাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল ইমরান খান ক্ষমতায় থাকাকালে। যখন তাঁরা আবার ক্ষমতায় এসেছেন, ইমরান খান তাঁর জীবনের জন্য লড়াই করছেন। এটি একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি। আর, এই পরিস্থিতিতে একত্রিত হতে হবে সবাইকেই । এটা কিন্তু আর ২০১৯ সাল নয়। দূর করতে হবে আমাদের মতভেদকে । জাতি এবং দেশকে বাঁচাতে বিজেপিকে পরাজিত করাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস তাদের নাম পরিবর্তন করে ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস করার পর থেকেই তারা বিভিন্ন রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা শুরু করেছে। আবার, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা ভেবেই চন্দ্রশেখররা অকংগ্রেসি এবং অবিজেপি জোট চাইছিলেন। কিন্তু, সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে মোদী সরকারের প্রবল চাপ।