যুগল পালিয়েছিল বাড়ি থেকে , সাহায্যের নামে ৩ যুবক কিশোরীকে পালা করে ‘ধর্ষণ’ করল খোদ প্রেমিকের সামনেই !
বেস্ট কলকাতা নিউজ : স্বপ্ন ছিল সুখের সংসার পাতার, প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছিল বাড়ি থেকে। কিন্তু ভিন জেলাতে গিয়ে অচেনা মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিতে গিয়েই ভয়ঙ্কর পরিণতি হল যুগলের। অভিযোগ, প্রেমিকের সামনেই গণধর্ষণ (Physical Assault) করা হয় ১৭ বছরের এক দলিত কিশোরীকে। ওই কিশোরীকে ধর্ষণের আগে তাঁর প্রেমিককে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুরে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়ৈর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা ও তাঁর প্রেমিক আজমেরের বাসিন্দা। শনিবার তাঁরা বাড়ি থেকে পালায়। বাসে চেপে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ যোধপুরে পৌঁছয়। রাত কাটানোর জন্য সেখানেই একটি গেস্ট হাউস ভাড়া নেয়। কিন্তু ওই গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার কিশোরীর সঙ্গে অভব্য় আচরণ করায়, তাঁরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসে।
সারা রাত ঘুরতে ঘুরতে পওটা চৌরাহায় পৌছয় তাঁরা। সেখানেই অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়। ওই তিন যুবকই প্রথমে এসে আলাপ করে এবং তাঁদের খাবার ও কোল্ড ড্রিঙ্কস দেয়। ওই কিশোরী ও তাঁর প্রেমিক গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানালে, তাঁরা সাহায্যের নাম করে ভোর ৪টে নাগাদ তাদের জয় নারায়ণ ব্যাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো ক্যাম্পাসের হকি গ্রাউন্ডে নিয়ে আসে। সেখানেই যুবককে ব্যাপক মারধর করে। এরপরে তাঁকে বেঁধে রেখে, তাঁর সামনেই কিশোরীকে পালা করে ধর্ষণ করে তিন অভিযুক্ত।
কিছুক্ষণ পরে কয়েকজন ওই মাঠে মর্নিং ওয়াক করতে এলে, অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পথচারীরাই পুলিশে খবর দেন। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ডগ স্কোয়াড ও ফরেন্সিক টিমও আসে। এর ঘণ্টাখানেক পরই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, পালাতে গিয়ে তিন অভিযুক্তই গুরুতর চোট পায়। দুইজনের পা ভেঙে গিয়েছে এবং অপর অভিযুক্তের হাতে চোট লেগেছে। চিকিৎসার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। গেস্টহাউসের কেয়ারটেকারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে কিশোরীর সঙ্গে অভব্য আচরণের জন্য।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। অভিযুক্তদের যাতে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, তার নির্দেশও দেন। একইসঙ্গে পুলিশের তৎপরতারও প্রশংসা করেছেন তিনি।