সেটা অতীত’ যদি কোনও পর্ব থেকে থাকে,, ‘রাজ্যপাল সকলের ’ বোসকে পাশে নিয়ে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠকের পর । রাজ্যপালকে পাশে নিয়েই তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন । সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও।উপস্থিত ছিলেন এমনকি নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত স্টেট ইউনিভার্সিটি, সিধু-কানহো বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও । শিক্ষামন্ত্রী এও বললেন, ‘আজ উপাচার্যরা প্রত্যেকে রাজ্যপালের হাতে একটি করে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং রাজ্যপাল তাঁদের তিন মাসের এক্সটেনশন দিয়েছেন। এখন এরা প্রত্যেকেই বৈধ উপাচার্য।’ ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন যাতে কোনও সংঘাতের আবহ তৈরি না হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। এদিকে রাজ্যপালও মনে করেন, এই পন্থাতেই এগোনো উচিত। আগামিকালও বেশ কিছু উপাচার্য এসে একইভাবে রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের এক্সটেনশন নেবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও আরও জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্বের জায়গা থাকা উচিত নয়। তিনি এও বলেন ‘একটা সময় ছিল, যখন শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য সর্বত্র বাংলার পরিচয় ছিল। সেই যুগকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আরও নজর দেব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারতের কথা। সেই আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য পূরণ করতে শিক্ষার সবথেকে বড় ভূমিকা হবে । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। উপাচার্যরা তাই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নিজে থেকে এগিয়ে এসে। কিন্তু তাঁরা সবাই বিজ্ঞ মানুষ। তাই আমি তাঁদের অনুরোধ করেছি, আপাতত তিন মাসের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই সময়ের মধ্যে আইন মেনে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগের কাজ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বার বার শোনা গেল । তিনি যে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনও সংঘাতের আবহ তৈরি না হয়, সর্বদা সচেষ্ট, তা নিশ্চিত করতেসেই কথা বার বার বোঝানোর চেষ্টা করলেন ব্রাত্য বসু । অন্যদিকে রাজ্যপালের মুখে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যের কথা এবং সেই লক্ষ্য পূরণে শিক্ষার প্রয়োজনের কথা। যদিও ব্রাত্য বসু বলছেন, ‘রাজ্যপাল সকলের। কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নয়। যদি কোনও কিছু থেকে থাকে, তা অতীত। এটি নতুন সময়।’