অতিরিক্ত ‘ধলতা’ নেওয়ার অভিযোগ উঠলো মালদহের ধান কেনার সরকারি শিবিরে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কৃষক আন্দোলনে উত্তাল যখন প্রায় সমগ্র দেশ। সেই সময় মালদায় চাষিদের ক্রমাগত শোষণের অভিযোগ উঠছে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার শিবিরে ফাঁদে ফেলে। আরও অভিযোগ উঠেছে চাষিদের থেকে ৪ কেজি থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত ধলতা নেওয়া হচ্ছে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করেই। শুধু তাই নয়, মিলগুলি ধান কিনছে স্থানীয় কৃষকদের পরিবর্তে ভিন রাজ্য থেকে আসা চাষিদের প্রাধান্য দিয়েই।

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চাষিদের থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার শিবির চালু করা হয়েছে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে। ১ হাজার ৮৮৮ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে এক কুইন্টাল ধানের জন্য। চাষিদের আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে মিল মালিকরা ধলতা নিচ্ছে ৪ কেজি থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত । শুধু তাই নয়, আগে কেনা হচ্ছে এমনকি স্থানীয় কৃষকদের বদলে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে আসা কৃষকদের ধান । ধান কেনার শিবিরে কোনো সরকারি আধিকারিক না থাকায় মিল মালিকরা চাষিদের হয়রানি করছে নিজের ইচ্ছে মতোই।

পুরাতন মালদার কিসান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে আসা এক কৃষক সরিফুল ইসলাম বলেন, “আজ আমি কিসান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে এসেছি। কিন্তু এখানে ধলতা নেওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। রাজ্য সরকারের নির্দেশ রয়েছে কোনও ধলতা নেওয়া যাবে না। কিন্তু মিনিমাম ৪ কেজি ধলতা নেওয়া হচ্ছে এখানে। ধানের একটু কোয়ালিটি এদিক ওদিক হলেই কেটে নেওয়া হচ্ছে ৭ কিলো পর্যন্ত ধলতা। কোনও সরকারি আধিকারিক নেই পুরাতন মালদার এই কিসান মাণ্ডিতে। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের।” একই বক্তব্য এমনকি আরেক চাষি সাহিদ ইসলামেরও।

এই প্রসঙ্গে মিল মালিকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁদের আরও দাবি, ধলতা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই সরকারিভাবে। কিন্তু তাঁদের ধলতা নিতে হচ্ছে বাধ্য হয়েই। সরকার ৬৮ কেজি চাল বুঝে নেয় প্রতি কুইন্টাল ধানের জন্য। ধানে যদি ধূলো থাকে তবে প্রতি কুইন্টাল ধান থেকে ওই পরিমাণ চাল পাওয়া যাবে কীভাবে। সেই কারণেই ধলতা নিতে হচ্ছে আমাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *