অবশেষে বাইক মিছিল নিষিদ্ধ হল ৪ পুরসভা ভোটে, বাজেয়াপ্ত হবে অনুমতিহীন গাড়ি দেখলেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এ রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। মূলত ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগরের ভোট হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গিয়েছে প্রধানত কোভিডের কারণেই। এবার নির্বাচন কমিশন ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল সেই ভোটকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে ।
এবার একনজরে দেখে নিন কমিশন যে যে নির্দেশিকাগুলো জারি করেছে
ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চলবে এরিয়া ডোমিনেশন ও রুটমার্চ।
নির্মীয়মাণ বাড়ি, কমিউনিটি হল, লজ, হোটেল, গেস্ট হাউস, স্টেডিয়ামে ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, বিকেল পাঁচটা থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাতে আশ্রয় না নিতে পারে কোনও সমাজবিরোধী, সেই কারণেই এই ব্যবস্থা। প্রশাসনকে তা চালিয়ে যেতে হবে এমনকি ভোট পর্যন্ত।
গাড়িতে নাকা চেকিং চলবে সমস্ত সীমান্ত এলাকায় । প্রয়োজন হলে প্রশাসন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পরিচয় যাচাই করবে।
বাজেয়াপ্ত করতে হবে সমস্ত বেআইনি অস্ত্র ও মদ।
অতীতে ভোটে হিংসা বা সাম্প্রদায়িক হিংসায় অভিযুক্ত কেউ যদি জামিনে বাইরে থাকেন এবং তাঁর কাছে যদি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র থাকে, তাহলে তা প্রশাসন রাখবে নিজেদের হেফাজতে।
ভোটের একদিন আগে আটক করতে হবে এলাকার দাগী অপরাধীদের।
পুলিশ ও কুইক রেসপন্স টিম সজাগ থেকে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে।
ভোটের আগেরদিন পোলিং পার্টি পৌঁছনোর আগেই সশস্ত্র পুলিশকে সেখানে পৌঁছে যেতে হবে।
বুথ দখল, রিগিং রুখতে হবে বুথ প্রহরার দায়িত্বে থাকা সশস্ত্র পুলিশকেই ।
যে মানুষ বুথে এসে ভোট দিতে চাইবেন, তাঁরা যাতে তা নির্বিঘ্নেকরতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে একমাত্র প্রশাসনকেই ।
যদি কোনও প্রার্থী বা পার্টির লোকজন ভোটের দিন অনুমতিহীন গাড়ি নিয়ে ঘোরেন, তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। বাইক মিছিল নিষিদ্ধ।
ভোটের দিন কড়া নজরদারি চলবে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পগুলিতে। সেখান থেকে যাতে ভোটারদের ভয় দেখানো বা তাঁদের উপর প্রভাব খাটানো না হয়।
সমস্ত বুথে থাকবে সিসিটিভি।
ভোটের দিন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে এমনকি সমস্ত রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদেরও ।