পেগাসাস আড়ি পাতে সেনা, গোয়েন্দা, ইডি অফিসার, প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও! প্রকাশ্যে এল এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : পেগাসাস স্পাইওয়্যার আড়ি পেতেছিল এমনকি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসার, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা , নীতি আয়োগ, ইডি অফিসারদের ফোনেও ! সন্দেহজনক সেই তালিকায় নাকি পাওয়া গেছে এমন অফিসারদেরও নাম। ‘দ্য ওয়ার’ জানাচ্ছে, সেই সন্দেহজনক ডেটাবেস খতিয়ে দেখে ১৭টি আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে তার থেকেই। তবে এখানেই শেষ নয়। অনুমান করা হচ্ছে ফাঁদ পাতা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী দফতরের আধিকারিকদের ফোনেও। গত সপ্তাহ থেকেই রাজধানীর রাজনীতি একরকম সরগরম পেগাসাস কাণ্ডে।

কিন্তু কে আড়ি পাতার নির্দেশ দিয়েছিল? মূলত মোদী সরকারের দিকেই অভিযোগের তির। তার কারণ ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও আগেই জানিয়েছে, তারা তাদের পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রি করেছিল শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকারকেই। বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলো মূলত ফোনে আড়ি পেতে থাকে এই স্পাইওয়্যার কাজে লাগিয়েই। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে আড়ি পাতা যায় না স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুমতি ছাড়া। কারণ এই স্পাইওয়্যার কেনার ও ইনস্টল করার খরচ যেমন বিশাল, তেমনি আইটি আইন মাফিক সরকারি অনুমতি নেওয়ারও প্রয়োজন হয় একে ব্যবহার করতে হলে।

তাই স্বভাবতই কারণে প্রশ্ন ওঠে, মোদী সরকার কি নিজেই ফোনে আড়ি পাতার দিয়েছিল এই স্পাইওয়্যার কিনে! ফোনে আড়ি পাতার বিষয়টা প্রথম সামনে আসে যখন একটি ডেটাবেস লিক হয়ে যায়। তাতেই সরকার ও বিরোধী পক্ষের একাধিক নেতা মন্ত্রী, সাংবাদিক, আমলা, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিল্পপতি সহ প্রায় ৩০০ জনের ফোন নম্বর লেখা ছিল। এর থেকেই সন্দেহ জাগে তাহলে কি ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে এইসব নম্বর হ্যাক করে। ২০১৮ সালে খবর রটে বিএসএফের প্রধান কে কে শর্মার ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল বলে। যদিও এই বিষয়ে মেলেনি কোনও পাকাপোক্ত তথ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *