অভিষেক সন্তুষ্ট রাজ্যপাল বোসের ‘সৌজন্যে’ , আপাতত ইতি রাজভবনের বাইরের ধরনায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সোমবার বিকেলে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে দেখা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ২০ মিনিটের বৈঠক শেষে রাজভবন থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা আবার গিয়ে বসেন রাজভবনের বাইরের ধরনা-অবস্থান মঞ্চে। অভিষেক বলেছিলেন, রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত ধরনা অবস্থান চলবে। গতকাল সোমবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে অস্থায়ী অবস্থান মঞ্চ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়-সহ অন্যান্য নেতারা অভিষেকের কাছে প্রস্তাব দেন ধরনা আপাতত মুলতুবি করার জন্য। এরপর মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কী কী বললেন তিনি?

অভিষেক বলেন, “রাজ্যপাল বলেছিলেন ‘ঘেরাও নয়, ঘরে আসুন’। আমি বলেছিলাম, উনি তো নিজেই ঘরে নেই। আমারে ঘরে ডাকছেন। আমি কার সঙ্গে দেখা করতে যাব? যাই হোক, চার-পাঁচ দিন পর গতকাল বাংলার রাজ্যপাল ঘরে ফিরেছেন। তিনি বিমানবন্দরে নামার পর বলেছিলেন, তাঁর থেকে কোনও সময় চাওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা সময় চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে রাতের দিকে রাজ্যপালের অফিস থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ৯টা ৫০ মিনিটে ফোন করে বলা হয়, ১০টার সময় চলে আসতে। সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ধরনা চলার পর সবাই বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আমরা এভাবে যেতে পারি না। আমি অনুরোধ করেছিলাম, আজ রাজ্যপালের সুবিধা মতো যে কোনও একটি সময় আমাদের দেওয়ার জন্য।”

অভিষেক এও বলেন, “আমাদের বলা হয়েছিল কোনও ফোন নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনও ফটোগ্রাফার যাবে না। কেউ যায়নি, কোনও ফোন নিয়েও যাওয়া হয়নি। আমরা আমাদের দাবি রাজ্যপালের কাছে উপস্থাপিত করেছি। আমাদের সাংসদদের যে মেরে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তা রাজ্যপালের কাছে এক মিনিটের জন্যও বলিনি। কারণ, আমাদের কাজই লড়াই করা। বাংলার মানুষের স্বার্থে আমরা লড়ব। আমরা একবারও বলিনি সাংসদদের চুলের মুঠি ধরে, চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হয়েছে।”

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বললেন, “ভুক্তভোগীদের পরিবারের যে সদস্যরা ছিলেন, তাঁরা রাজ্যপালে কাছে নিজেদের জবকার্ড দেখান। এমনকী নিজেদের জবকার্ড দেখিয়ে পারলে, রাজ্যপালের চরণে অর্পণ করে বলেন, আপনি এর বিচার করুন। তাঁরা দু’বছর ধরে কাজ করে বসে রয়েছেন, তাঁদের সংসার চলছে না। তাঁরা প্রশ্ন করেন, কেন কেন্দ্র তাঁদের টাকা আটকে রেখেছে? রাজ্যপালের কাছে কোনও উত্তর ছিল না।”

অভিষেক আরও জানান, রাজ্যপাল বোসের বাধ্যবাধকতার কথা বিবেচনা করে তাঁরা রাজ্যপালকে সময়ও দিয়েছেন। বললেন, “রাজ্যপালকে আমরা বলেছি, আপনি ১০-১৫ দিন সময় নিন। প্রয়োজনে তিন সপ্তাহ সময় নিন। তিন সপ্তাহের মধ্যে আমাদের জানাতে হবে, কেন গরিব মানুষের একশো দিনের টাকা বিজেপি সরকার বন্ধ করে রেখেছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *