আখ-গুড় কিছুই পাঠানো যায়নি লকডাউনের কারণে , সংসার এর অচলাবস্থা পুরুলিয়ার সিরকাবাধের আখ চাষিদের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অভাব রয়েছে সেচের জলের। উপায়ও নেই বিকল্প কোনও চাষের। তাই আরশা ব্লকের সিরকাবাদের দশ-বারোটি গ্রামের মানুষ কয়েক পুরুষ ধরে আখ চাষ করেই সংসার প্রতিপালন করেন। এবার করোনা পরিস্থিতি আর লকডাউন পুরুলিয়ার আখ চাষিদের ঠেলে দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তার সামনে। কোনো ক্রেতা নেই আখের, নেই আখের গুড়ের কোনো ক্রেতাও। এমনকি সব নষ্ট হচ্ছে পড়ে থেকেও। কীভাবে চলবে পেট, ভাবতে পারছেন না সিরকাবাদের চাষিরা।

আরশা ব্লকের সিরকাবাদ মানেই আখ চাষ। আখের খেত শুধুই বিঘের পর বিঘে জুড়ে । চাষের জন্য কোনও রকম রাসায়নিক সার ব্যবহার না হওয়ায় এখানকার আখ থেকে যে গুড় তৈরি হয় তার স্বাদও অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের। সিরকাবাদে আখ চাষ হয় দুই থেকে আড়াই একর জমিতে। এই আখ চাষের উপর নির্ভরশীল দশ বারোটা গ্ৰামের মানুষ।

সিরকাবাদের বাসিন্দা আখ চাষি বিপদতারণ কুইরী বলেন, ‘‘খুবই অভাব এলাকায় সেচের জলের। তাই এক বছর সময় লেগে যায় আখ চাষের জন্য জমি তৈরি করতে। দু’বছর অন্তর প্রত্যেক জমিতে একবার করে ফলন হয়।’’ এলাকার অন্য চাষিরা বলেন, ‘‘আখ চাষের জমিগুলো রয়েছে বান্দু নদীকে ঘিরে। সরকার যদি একটু সেচের ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে আখ চাষ করা যেত আরও ভালভাবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *