আদালতের নির্দেশে গিয়েছে শিক্ষিকা পদের চাকরি , মেলেনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও, ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ এক শিক্ষিকা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : শিক্ষিকা পদের চাকরি চলে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে। যদিও তাকে দেওয়া হয়নি কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ। এই অবস্থায় এক শিক্ষিকা দ্বারস্থ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে। উল্লেখ্য , জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন ২০১৪ সালে ৷ টেট এর ফল প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ১লা জুন । এর পরেই জয়িতা রাইট টু ইনফরমেশন এক্ট (RTI)-এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর জানতে চান৷ পর্ষদের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রদান করা হয় উত্তরপত্র সহ যাবতীয় তথ্য। সেখানে তিনি দেখেন , পর্ষদ তাঁকে ১ নম্বর কম দিয়েছে সঠিক উত্তর দেওয়া সত্বেও। সেই ১ নম্বর পাওয়ার জন্য পর্ষদের কাছে আবেদন জানান তিনি। তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন পর্ষদ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়।

এদিকে আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পরেই জয়িতার আবেদন মঞ্জুর করে এবং পর্ষদ তাঁকে ১ নম্বর দিয়ে দেয়। এর পরেই তিনি বিবেচিত হন নিয়োগ পত্র পাওয়ার যোগ্য হিসেবে। ২০১৭ সালের ৫ই ডিসেম্বর জয়িতাকে পর্ষদ নিয়োগপত্র দেয় ৷এমনকি ২৬৯ জন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় । চাকরি হারানো এই সকল প্রার্থীর দাবি, তাঁদের সকলের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে আদালতের নির্দেশে৷ কিন্তু, তাঁদের আদালতের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো রকম সুযোগ দেওয়া হয়নি৷

এই বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর গোচরে থাকলেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়নি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলায়। তাছাড়া গত ১৩ জুন মামলাকারীরা মামলার শুনানিতেও অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। শুনানির পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এর পরেই জয়িতা বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান সমস্ত তথ্য প্রমাণ হাতে নিয়ে ৷ তিনি এও জানান, তাঁর বক্তব্য না শুনেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বিনা বিচারে।

এদিকে জয়িতার আইনজীবী আশিষ কুমার চৌধুরী জানান, তাঁর মক্কেলের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য থাকা সত্ত্বেও তিনি সুযোগ পাননি তাঁর বক্তব্য পেশ করার। তাঁর উত্তরপত্রের সঠিক মূল্যায়নের পর পর্ষদ তাঁকে ১নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ পত্র দেয় যোগ্য প্রার্থীর মর্যাদা দিয়ে। সেই বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরার সুযোগ না পাওয়ায় তাঁর চাকরিও বাতিল হয়ে গিয়েছে বাকি ২৬৮ জনের সঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *