ইন্টারভিউ-র ডাক পড়ত এমনকি TET ফেল করলেও, কুন্তলদের পকেটে আসত কোটি কোটি টাকাও , অবশেষে CBI রিপোর্ট দিল নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : টেট পরীক্ষা দেওয়ার পর প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে যোগাযোগ করতেন কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। টাকা দিলে তাঁদের নাম পাশ করা প্রার্থীর তালিকায় উঠে যেত। ইন্টারভিউয়ের ডাক পেতেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে চাকরি পেয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু কোন তালিকায় উঠত নাম? সিবিআই-এর দাবি, তৈরি করা হয়েছিল ফেক ওয়েবসাইট। সেখানেই নাম দেখতে পেতেন প্রার্থীরা। এভাবেই দিনের পর দিন চলছিল একটা চক্র! মঙ্গলবার হাইকোর্টে এমনই রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। ২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল, তারই তদন্ত রিপোর্ট এদিন জমা পড়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে।

প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। মঙ্গলবার রিপোর্টের সঙ্গে পেশ করা হয়েছে চার্জশিটের কপিও। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-এর হাতে কী তথ্য উঠে এসেছে, তার উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে রয়েছে, অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলের নাম। তাঁদের মধ্যে একটা অশুভ আঁতাত গড়ে ওঠে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এরাই অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়ে বিপুল অর্থ সংগ্রহের একটা চক্র তৈরি করেছিল।

সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, তাপস মণ্ডলের কয়েকজন সাব এজেন্ট ছিলেন। তাঁদের মাধ্যমে মূলত টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিকদের কাছ থেকে টাকা তোলা হত। শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কুন্তল ও তাপসের পকেটে কোটি কোটি টাকা গিয়েছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই।

তদন্তকারী সংস্থা বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাপস মণ্ডল তাঁর ৮ জন এজেন্টের মাধ্যমে ১৪১ জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা, আর অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষকে ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাপস। সিবিআই-এর দাবি, প্রায় একই কায়দায় এবং একই সময়কালে কুন্তল ঘোষও তাঁর তিনজন এজেন্টের মাধ্যমে ৭১ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *