এবার ইউনেস্কোর হেরিটেজ সম্মান কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতীকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এবার বাংলার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেতে চলেছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় । যা অন্যতম একটি ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান গোটা বিশ্বের মধ্যে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জড়িয়ে রয়েছেন ওতপ্রোতভাবে । এবার ইউনেস্কো (UNESCO) খুব শীঘ্রই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে সেই বিশ্বভারতীকেই , এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আগে থেকেই উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই পরিকল্পনা খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বেশ কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ‘ইউনেস্কোর হেরিটেজ কমিশন বিশ্বের মধ্যে প্রথম কোন লিভিং ইউনিভার্সিটিকে হেরিটেজ করার চিন্তাভাবনা করছে যা অনেক বড় পাওনা’আমাদের কাছে । জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটসের প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেছেন বলেও। তাঁরা পরিদর্শন করেন বিশ্বভারতীর কলা ভবন থেকে শুরু করে উপাসনা গৃহ এবং ক্যাম্পাস চত্বরের আরও অন্যান্য জায়গা।

ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা বলছে, বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২০১০ সাল থেকেই । তবে তাতে এখনও কতটা সময় লাগবে নিশ্চিত জানা যায়নি এই বিষয়টি । উল্লেখ্য, ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯২২ সালে সেটি খাতায়-কলমে চলে যায় বিশ্বভারতী সোসাইটির নামে। তবে জানা যায় তার আগে পর্যন্ত বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামেই ছিল বলে। সম্পূর্ণ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়টি ১১৩০ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে থেকে বেশ কিছু সম্পত্তি এবং বাংলো ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে। যা তিনি দান করেছিলেন বিশ্বভারতী সোসাইটিকে। এটি ১৯৫১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পেয়েছিল। এর প্রথম উপাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দ্বিতীয় উপাচার্য ছিলেন অমর্ত্য সেনের ঠাকুরদা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *