কংগ্রেস প্রবল মরিয়া আদানি ইস্যুতে সরকারকে চরম প্যাঁচে ফেলতে , দেশ জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে SBI-LIC-এর সামনে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কংগ্রেস দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল এও জানিয়েছেন যে কংগ্রেস বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে সারা দেশের জেলাগুলিতে এলআইসি এবং এসবিআই অফিসের সামনে। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের অর্থ নয়ছয় করছে তার ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের’ সাহায্য করার জন্য। এর বিরোধিতা কংগ্রেস পার্টি আগে করেছে এখনও করে চলেছে। এমনকি কংগ্রেস একটি সংসদীয় প্যানেল (জেপিসি) বা সুপ্রিম কোর্টের একটি কমিটি দাবি করেছে আদানি গ্রুপের আর্থিক লেনদেনের তদন্তের জন্য।

এদিকে খড়গে প্রশ্ন তোলেন আদানি ইস্যুতে সরকারের নীরবতা নিয়ে । আজ সংসদ ভবনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ করেন কংগ্রেস সাংসদরাও । দলের তরফে বলা হয়েছে সরকার এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হতে দিচ্ছে না সংসদের মধ্যে। । তুমুল হট্টগোলের পর শুক্রবার ৬ ফেব্রুয়ারি সংসদের উভয় কক্ষের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গেও। তিনি অমৃত কালের স্টক ক্র্যাশকে বর্ণনা করেছেন একটি বিরাট কেলেঙ্কারী হিসাবেও । জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি (জেপিসি) বা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে বিষয়টির তদন্তের দাবি করেছেন খড়গে।

আদানি বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তিনটি প্রশ্ন কংগ্রেসের তরফে:

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আদানি ইস্যু নিয়ে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন । আদানি গ্রুপের হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পর তিনি লিখেছেন- মোদী সরকার নীরবতা পালন করেছে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের মধ্যেও । এটা ‘কারসাজির স্পষ্ট ইঙ্গিত’। রমেশ বলেন কংগ্রেস দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি প্রশ্ন উত্থাপন করে যার প্রতিটিতেই নিরব থাকে মোদী।

প্রথম প্রশ্ন: গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিরুদ্ধে পানামা পেপারস ও প্যান্ডোরা পেপারসে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

দ্বিতীয় প্রশ্ন: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই এবং আয়কর কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

তৃতীয় প্রশ্ন: বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে শুধু আদানি গোষ্ঠীকে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এটা কীভাবে সম্ভব?

মার্কিন শর্ট সেলিং ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ এনেছে। এরপর ক্রমাগত পতন ঘটছে গ্রুপ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের। আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। গৌতম আদানি বলেন, ‘এটা দেশকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *