এ বার ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হল ফোনের মাধ্যমে পাঠদানের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্য শিক্ষা দফতর বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাড়িতে বসেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে আরও ভাল ভাবে পড়াশোনা করতে পারে, তার জন্য। ওই দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এত দিন পর্যন্ত ফোনে শিক্ষকদের কাছে পড়া বুঝে নেওয়ার সুবিধা পাচ্ছিল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাই। এ বার পরিকল্পনা চলছে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারাও যাতে এই সুবিধা পায়, তার জন্য। সেই সঙ্গে ‘অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’-এর উপরেও তৈরি হচ্ছে একটি বই বা ‘অ্যাক্টিভিটি ব্যাঙ্ক’।

মূলত, স্কুল গুলি বন্ধ হয়ে পরে রয়েছে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুললেও ফের সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায়। এই পরিস্থিতিতে সরকারি, সরকার-পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন, অনলাইন ক্লাসও পর্যাপ্ত সংখ্যায় হয়নি বেশ কিছু স্কুলে। ওই পড়ুয়াদের এখন একমাত্র ভরসাই হল মিড-ডে মিলের সামগ্রীর সঙ্গে দেওয়া ‘অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’। বেশ কয়েকটি স্কুল এও জানাচ্ছে, স্কুল শিক্ষা দফতর জুন মাস থেকেই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়ার কথা বলেছে মিড ডে মিলের সঙ্গেই।

শিক্ষা দফতরের এক কর্তা মঙ্গলবার আরও বলেন, ‘ মিড ডে মিলের সঙ্গে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়ার কথা বলা হয়েছে জুন মাস থেকেই। তবে এবার শুধু মিড-ডে মিলের সঙ্গে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়াই নয়, আমরা পরিকল্পনা করেছি, অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উপরে যদি তৈরি করা যায় একটি বই বা অ্যাক্টিভিটি ব্যাঙ্ক।এবং সেই বই পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তা হলে তাদের আরও সুবিধা হবে। তা হলে আর মিড-ডে মিলের সঙ্গে অভিভাবকদের বার বার অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নিতে হবে না। পড়ুয়ারা তার সমাধান করে ফেলতে পারবে অ্যাক্টিভিটি টাস্কের বই দেখেই। তার পরে অভিভাবকদের মাধ্যমে তা শিক্ষকদের দেখিয়ে নিলেই হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *