মুখ্যমন্ত্রী অসন্তুষ্ট সেচ দপ্তরের কাজে , চিন্তায় এমনকি জোড়া কোটাল নিয়েও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এখনও শুকোয়নি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর ক্ষত। এরই মধ্যে দুটি কোটাল চোখ রাঙাচ্ছে । বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যা নিয়ে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, দুটি বড় কোটাল আছে ‘১১ ও ২৬ জুন। যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এমনকি তার আগেই।’
মুখ্যমন্ত্রী তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এমনকি সেচ দপ্তরের কাজেও। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর বাঁধ সারানো হচ্ছে সেচ দপ্তরের তরফে। আর তা ভেঙে যাচ্ছে কোনো রকম দুর্যোগ এলেই। খরচ করা হচ্ছে এমনকি লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্তু তা একরকম জলে যাচ্ছে।’ মুখ্যমন্ত্রী ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন গোটা ঘটনায়। মুখ্যমন্ত্রী রিপোর্ট চেয়েছেন এমনকি আমফানের সময় ভেঙে পড়া গাছগুলি সম্পর্কেও। প্রসঙ্গত আমফানের সময় শুভেন্দু অধিকারীই ছিলেন সেচ মন্ত্রীর পদে।কিন্তু তিনি এখন বিজেপিতে। মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে তাই শুভেন্দুকেই দুষেছেন।নবান্নে বুধবার নবান্নে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি চান অন্তত ১০ বছরের জন্য ঠিকাদারদের দায়িত্ব দিতে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই মমতা ব্যানার্জি দিঘাকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করেন। সেই দিঘাই এবার তছনছ হয়ে গেছে ইয়াস এর প্রবল ধাক্কায়। মন্দারমণির অবস্থাও সেই একই রকম। আর তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দুষেছেন একমাত্র গাফিলতিকেই। মন্দারমণিতে বেআইনি হোটেল তৈরি হওয়াই যে বড় কারণ, মুখ্যমন্ত্রী তা বারবার বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘ লক্ষ লক্ষ মানুষের উপার্জন হয় দিঘায় পর্যটন শিল্প থেকে। এই বিষয় তাঁর আরও প্রশ্ন কংক্রিটের পাথওয়ে কেন ভেঙে গেল? সমুদ্রের বোল্ডার পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে।ফের নতুন করে তৈরি করতে হবে হকারদের দোকানগুলিকে। চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে চাই বর্ষার আগেই। সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে দিঘার সৌন্দর্যায়নও।’