কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে , চাপ বাড়াতে বার্তা এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাপ বাড়াতে আরও একবার বার্তা দিলেন বেসরকারি নার্সিংহোম এবং হাসপাতালগুলি যাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেয়, সে জন্য। তিনি এও জানান, এমনকি লাইসেন্স বাতিলের নিয়মও রয়েছে সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে আরও মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ করারই ইঙ্গিতই দিলেন এই ভাবে ঘুরিয়ে। একই সঙ্গে যাতে বাধার মুখে না পড়তে হয় ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে’র ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও, সে জন্য মুখ্যসচিব এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে কথা বলতে বলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও।

মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠকে এও বলেন, ”অনেক নার্সিংহোমই অবহেলা করছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড -এর মাধ্যমে পরিষেবা দিতে। সরকারি প্রকল্পকে মান্যতা দিতেই হবে। না হলে তো এমনকি লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে তাদের। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিত্‍সা করাতে গিয়ে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার অনেক নার্সিংহোম থেকে অনেককে ফিরে যেতে হয়েছে বলেও। তাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরও প্রশ্ন তোলে।

পাশাপাশি, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের’ সুবিধা পেতে ব্যাঙ্ক বা সরকারের তরফে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তাও দেখে নিতে বলেন।বিস্তারিত ভাবে জানতে চান স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনের কাছেও । মণীশ বলেন, ”সমস্ত ব্যাঙ্কের কাছে যাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ঋণ দিতে শুরু করে স্টেট ও সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। আরও দু’টি ব্যাঙ্ক চুক্তি করেছে পুজোর আগে। মাঝখানে মুখ্যসচিব চার বার ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাতে এগিয়ে এসেছে দু’টো বেসরকারি ব্যাঙ্ক। যে দু’টো ব্যাঙ্কে সমস্যা হচ্ছে তারা নভেম্বর থেকে শুরু করবে বলে আশাবাদী।”

প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়ুয়াদের থেকে ১ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ৪ কোটি টাকার বেশি চাহিদা রয়েছে। যে ব্যাঙ্কগুলি এখন কাজ করছে, আবেদনগুলি তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ৩৪ হাজার আবেদন অনুমোদন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, প্রতি দিন এক বার দেখে নিতে কতগুলি আবেদন আটকে রয়েছে। কেন আটকে রয়েছে। তিনি এও বলেন, ”পড়ুয়ারা এই সুবিধা পাক আমি চাই। তাতে ভাল হবে ব্যাঙ্কেরও।” তিনি আরও বলেন, ”লক্ষ্ণীর ভান্ডারে আবেদন করতে পারেনি অনেকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে কেউ সেই সুবিধা পাবেন না, এটা ভুল ধারণা। অন্য নথি ঠিক থাকলে তাঁরাও পাবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *