কাদের ইন্ধনে তৈরি হয়েছিল নয়ডার গগনচুম্বী টুইন টাওয়ার, সত্য ফাঁস সোশ্যাল মিডিয়ায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : যেদিন নয়ডায় সুপারটেকের টুইন টাওয়ারগুলো ভেঙে ফেলা হল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, সেদিনই বাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। বিজেপির অভিযোগ, ভেঙে ফেলা ভবনগুলো, “জীবন্ত উদাহরণ ‘অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টির শাসনকালে দুর্নীতি এবং নৈরাজ্যের।’

রবিবার একটি টুইটে উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য লিখেছেন, ‘নয়ডার টুইন টাওয়ারগুলো তৈরি হয়েছিল মূলত অখিলেশ যাদব এবং সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীনই। এগুলো দুর্নীতি এবং নৈরাজ্যের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। আজ দুর্নীতির এই সব দালান ভেঙে ফেলা হল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে এবং বিজেপি সরকারের অধীনে। এটাই ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন।’

এদিকে সমাজবাদী পার্টিও মৌর্যের পোস্টের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করে,দলের মিডিয়া সেল, সেখানে বলা হয় একমাত্র বিজেপিই দায়ী এই ‘ বহুতল দুর্নীতির’-এর জন্য। টুইটে এও বলা হয় এই দুর্নীতির জন্য দায়ী একমাত্র বিজেপিই। কারণ সুপারটেক অনুদান দিয়েছিল বিজেপিকে। আর, তারা মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে কাজ করেছিল বিজেপির লোকদের সঙ্গে বসে। আপনার (কেশবপ্রসাদ মৌর্য) শপথ করে বলা উচিত যে আপনি সুপারটেক থেকে কোনো অর্থ পাননি এবং আপনি তাদের দুর্নীতির অংশীদার নন।’

অন্য একটি টুইটে সমাজবাদী পার্টি এও লিখেছে, ‘টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আদালতের। বিজেপির হাত ছিল এই অপরাধে। এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। তারা এখন অভিযোগ করছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে। আমরা কি নাম লিখে জানিয়ে দেব, সুপারটেকের লোকজন কাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন, কোথায় তাদের সঙ্গেসেটিং করা হয়েছে? আপনি নিজেই একটা দুর্নীতিবাজ।’

অন্য একটি টুইটে সমাজবাদী পার্টি এও বলেছে, ‘দুর্নীতিবাজরা ধরা পড়লে খুব উচ্চস্বরে কথা বলে অন্যকে অভিযুক্ত করার জন্য। কিন্তু, তারা জানে না যে আকাশে থুথু ফেলার ফলে থুতু পড়ে তাদের মুখেই। দুর্নীতিবাজ বিজেপির মুখ মলিন দুর্নীতির নোংরায় ।’

অবশেষে রবিবারই নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে নয় বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে । কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাটিতে মিশে গিয়েছে দিল্লির আইকনিক কুতুব মিনারের (৭৩ মিটার) থেকেও লম্বা, প্রায় ১০০ মিটার উচ্চতার এই কাঠামোগুলো । ধ্বংসের কয়েক মিনিট পরে, আশপাশের ভবনগুলো নিরাপদ আছে কি না, তা দেখা হয় পরীক্ষা করেও । দূষণ সংক্রান্ত পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, ধ্বংসের পর বেশ কিছুক্ষণ অত্যন্ত কম ছিল এলাকায় দৃশ্যমানতা । বেশ খারাপ ছিল বাতাসের গুণমানও ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *