কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন নজির , ড্রোনের মাধ্যমে ৮ মিনিটেই হবে ৮ ঘন্টার কাজ ,বিশাল লাভের মুখ দেখবে সুন্দরবনের কৃষকেরা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কৃষি ক্ষেত্রে নয়া নজির সুন্দরবনে । সাধারণত চাষীদের সময়, শ্রম এবং অর্থের প্রয়োজন বেশি পড়ে চাষের কাজে জমির পরিমাণ অধিক হলে । এবার সুন্দরবনে চাষীদের সময়, শ্রম বাঁচাতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে চাষের ক্ষেত্রে । বহুদিন আগে প্রশাসনিক কাজে ড্রোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। ভারত সরকারের তরফ থেকেও বারংবার নানান প্রকল্প সামনে এসেছে কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করা নিয়ে। সময় এবং অতিরিক্ত অর্থের কারণে বহু চাষী সেভাবে মুনাফা পান না কৃষি ক্ষেত্রে। উপরন্তু দিনের পর দিনবিপুল লোকসানের বোঝা কাঁধে চাপতে থাকে । অনেকে আবার ঋণ নিয়ে চাষ করলেও যা ফসল ওঠে, তা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন না। এবার সুন্দরবনে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে চাষীদের সময় শ্রম আর অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই। এক সর্বভারতীয় সংবাদ পত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র কৃষি ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের সামনে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে অতি সহজে বড় বড় জমিতে রাসায়নিক সার এবং জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে চাষীদের অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন নেই। আবার পরিশ্রমও করতে হচ্ছে না।

জয়নগরের ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছিল। এই অঞ্চলের চাষীরাও এই প্রযুক্তিতে বেশ খুশি এবং তারা বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলী। সাধারণত যারা এক একর বা তার বেশি জমি চাষ করেন, সেই জমিতে যদি কীটনাশক স্প্রে করতে চান তাহলে সারাদিন লেগে যেতে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে ড্রোন পুরো জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে পারে। দশ লিটার রাসায়নিক সার অথবা কীটনাশক চাষের জমিতে ব্যবহার করতে সময় লাগছে মাত্র ৮ মিনিটে।

ড্রোনের মাধ্যমে অত্যাধুনিক কৃষি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর ১ এবং ২ নম্বর ব্লক, পাথরপ্রতিমা, কুলতলী মথুরাপুর এবং মন্দির বাজার সহ সুন্দরবনের বহু এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে চাষের কাজ আরো সহজ হয়ে উঠেছে। আগে জমিতে কীটনাশক বা সার প্রয়োগ করতে প্রায় ছয় থেকে আট ঘন্টা লাগত। সেই কাজ ড্রোনের মাধ্যমে হচ্ছে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *