খোদ দোকান মালিক ‘ডাকাতি’ করালেন নিজের সোনার দোকানেই , পুলিশ চরম হতবাক সোনারপুরে ব্যবসায়ীর বুদ্ধি দেখে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সোনারপুরে মঙ্গলবার রাত্রিবেলা একটি গহনার দোকানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এলাকায় ব্যাপক হইচই তৈরি হয় সেই ঘটনার পরই। দোকানের কর্ণধার রাজু রায়কে সোনারপুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একদিকে যখন পুলিশ সেই চুরির রহস্যের সমাধান করতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় থানায় এসে উপস্থিত হলেন আরও এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও দোকানের মালিক গহনা দিচ্ছিল না। অর্থাৎ মালিকের নামেই থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন মহিলা। এরপর আর গোটা বিষয়টি বুঝতে বাকি থাকেনি পুলিশের। অভিযুক্ত যে তাদের সামনেই বসে রয়েছে তা ঠাউর করতে দুঁদে গোয়েন্দাদের এক মুহূর্ত লাগল না । পুলিশের দাবি, ধারদেনার কারণেই দোকানে ডাকাতির ঘটনা সাজানো হয়েছে।

সূত্রের খবর সন্ধ্যেবেলা সোনারপুর থানার পুলিশের কাছে খবর যায়, গহনার দোকান খোলার পর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী সব সোনার গহনা ও নগদ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে আসেন সোনারপুর থানার আইসি এবং বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রবদন ঝা। মালিক রাজু রায়কে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই হাজির হন এক মহিলা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। তাঁর অভিযোগ, এক বছর আগে ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা দেন এই রাজুকে। তবে গহনা না দিয়ে দিনের পর দিন ঘোরানো হচ্ছিল তাঁকে। ওই মহিলা ফোন করলে তাঁর ফোনও তুলতেন না তিনি।এরপর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এভাবে গহনা দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত ব্যক্তি আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। ডাকাতির ঘটনা সাজানো বলেই জানান বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিগত কয়েক বছর ওই ব্যক্তির ব্যবসা ভাল যাচ্ছিল না। তাই ডাকাতির ঘটনা ফেঁদে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে যাতে বিমার টাকা পাওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছিল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *