গলা টিপে নৃশংস খুন কোলের শিশুকে, ছি ছি পড়লো স্বামী ছেড়ে ‘পরকীয়া পাগল’ মহিলার কেচ্ছায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সন্তানঘাতী মা! প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশে নিজের ৫ বছরের পুত্র সন্তানকে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধেই। ঘটনার পর প্রায় এক বছর পর্যন্ত কার্যত পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন দু’জনেই। তবে হল না শেষ রক্ষা। মৃত সন্তানের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শেষমেশ তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকেই।

কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা রাহুল রজক। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি বিয়ে করেন রেখা রজককে। বিয়ের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের রাজপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। এরপর ২০১৭ সালে তাঁদের দুটি পুত্র সন্তান হয়। বড়ছেলেকে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন রেখা। ছোটছেলেকে কাছে রেখে মানুষ করছিলেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই কাজের সন্ধানে রেখার স্বামী কেরালায় চলে যান।

শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন রেখা। এরই মধ্যে সুভাষগ্রামের কোদালিয়ার বাসিন্দা তুষার নন্দীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। ভাড়া বাড়ি ছেড়ে তুষারের বাড়িতে গিয়েই রেখা থাকতে শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ। ২০২২ সালের ১৭ জুলাই হঠাৎই খাট থেকে পড়ে গিয়ে ছোট ছেলে মারা গিয়েছে বলে স্বামী রাহুলকে জানান রেখা।

ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে তড়িঘড়ি ফিরে আসেন রাহুল। ছেলের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে থানায় অভিযোগ জানাতে চাইলে স্ত্রী রেখা যেতে অস্বীকার করেন। শেষমেশ সোনারপুর থানা, বারুইপুরের পুলিশ সুপার ও নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পর্যন্ত অভিযোগ জানান রাহুল রজক। গত ১৬ এপ্রিল এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় এফআইআর রুজু করা হয়।

ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত প্রেমিক-প্রেমিকা দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও এর মধ্যে রেখা তাঁর আগের প্রেমিক তুষারের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে নতুন এক ব্যক্তির সঙ্গে বাসন্তীতে থাকতে শুরু করেছিলেন বলে জানা যায়। এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগকারী রাহুল রজকের দাবি, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *