জাতীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন চরম উদ্বিগ্ন তিলজলার মর্মান্তিক কাণ্ডে , নোটিস বাংলার মুখ্যসচিব-ডিজিকেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে এবার জাতীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন মুখ খুলল তিলজলার মর্মান্তিক কাণ্ডে ।এমনকি তিলজলায় নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কমিশন নোটিস দিচ্ছে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে । এদিকে কমিশনও টুইট করে ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এদিকে জাতীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো টুইট করে জানান, “তিলজলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কমিশন । কলকাতায় সাত বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কমিশন উদ্বিগ্ন। ওই রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে আমরা নোটিস পাঠাচ্ছি। এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানবেন আমাদের একটি প্রতিনিধি দল।”
এদিকে, তিনজলায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরিয়ে আবাসনের নীচে আবর্জনা ফেলতে যায় নাবালিকা। সেই সময় প্রতিবেশী অলোক কুমার তাকে দোতলার ফ্ল্যাটে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। শিশুটির হাত-পা-মুখ বেঁধে চালানো হয় যৌন নির্যাতনও। তার পর শিশুটির গলা কেটে খুন করা হয়। সন্ধেয় ফ্ল্যাট থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। এর পরই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে তিলজলা থানায় চড়াও হন স্থানীয়রা। অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে শিশুটির নিখোঁজের খবর পেয়েও। তদন্তে গাফিলতি না হলে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা যেত। এই ঘটনার জেরে তিলজলা এলাকাও দিনভর উত্তপ্ত থাকে। পার্ক সার্কাসে রেল অবরোধ থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কিছুই বাদ যায়নি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি হয়। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। অশান্তি ছড়ানোর দায়ে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় ধৃত অলোক কুমার পুলিশকে জানিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা ওই যুবকের স্ত্রীর তিনবার গর্ভপাত হয়েছে। সন্তানলাভের আশায় এক তান্ত্রিকের পরামর্শে শিশুখুন করেছে সে।