তাদেরও বাঁচার অধিকার আছে যাদের ইন্টারনেট নেই , রাহুল গান্ধী ফের সরব হল কেন্দ্রের টিকাকরণ নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভ্যাকসিনই এখন একমাত্র অস্ত্র করোনা ভাইরাসএর থেকে বাঁচতে। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে অধীর অপেক্ষায় আছে শহর থেকে গ্রাম সকলেই। কিন্তু নাম রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সবথেকে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ অনলাইনে হয় সমগ্র প্রক্রিয়াটাই। কিন্তু এখনও এমন অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম আছে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছায়নি সঠিকভাবে। এমনকি স্মার্টফোনও নেই তাদের হাতে। তাহলে তারা ভ্যাকসিন পাবে কীভাবে? কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জোর সওয়াল করলেন তা নিয়েই।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আবার ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ নিয়ে। রাহুল গান্ধী কেন্দ্রের কাছে আবেদন করলেন অনলাইন টিকা দেওয়ার পাশাপাশি অফ লাইনেও টিকা দেওয়ার উপরে জোর দেওয়ার জন্য। এদিন কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন যথেষ্ট নয় টিকাকরণের জন্যে। যারা ভ্যাকসিন সেন্টারে যাচ্ছেন ভ্যাকসিন পাওয়া উচিত তাদের সবারই। জীবনের অধিকার আছে এমনকি তাদেরও যাদের ইন্টারনেট নেই।
এই প্রথমবার নয়। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রকে বারবার আক্রমণ করেছে এর আগেও। এর আগে ৭ জুন কেন্দ্রকে রাহুল গান্ধী জিজ্ঞাসা করেছিলেন ভ্যাকসিন যদি সবার জন্যে ফ্রি হয়, তাহলে কেন ভ্যাকসিনের জন্যে টাকা নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। উল্লেখ্য, টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্র গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের প্রবল প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। তারপরই নরেন্দ্র মোদী সরকারের টনক নড়ল করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ নীতি নিয়ে । এই আবহে রাজ্যগুলির ঘাড়ে দোষ চাপিয়েও নরেন্দ্র মোদী নিজেদের ঝুলিতে রাখেন টিকাকরণের সফলতার অংশটুকু।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্ভব নয় স্মার্টফোনে ‘কো-উইন’ অ্যাপ না থাকলে। এই অ্যাপের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয় ধাপে ধাপে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের বিবরণ দিয়েই। ওই অ্যাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থান ও তারিখ নির্ধারণ করা হয় সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করলে তারপরই। টিকা নিতে হয় সেই সময়ে গিয়ে।যাদের কাছে ইন্টারনেট বা স্মার্টফোনের সুবন্দোবস্ত নেই প্রবল সংশয় সৃষ্টি হয়েছে এমনকি তাদের কাছে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়েও।