আজ হাইকোর্টে ফের শুনানি আরামবাগে সদ্যোজাত পাচার মামলায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কোলকাতা নিউজ : কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যকে আরও একদিন সময় দিল আরামবাগে সদ্যোজাত পাচার কাণ্ডের মামলায় । আদালত এও জানিয়েছে,  সদ্যোজাতকে খুঁজে বের করতে হবে এমনকি একদিনের মধ্যেই । এর আগে রাজ্যকে সময় দেওয়া সত্ত্বেও  সদ্যোজাতর ব্যাপারে সিআইডি এখনও দেখাতে পারেনি কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ। এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডির উপর একরকম  ক্ষুব্ধ। এর পাশাপাশি তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট মন্তব্য করে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য উঠে এসেছে তা অত্যন্ত সন্দেহজনক বলেই।

গতকাল রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল জানান, সদ্যোজাত মারা যাওয়ায় পর তাকে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে ব্রিজ থেকে। এই ব্যাপারে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়  চরম অসংগতি পান রাজ্যের এজিকে প্রশ্ন করলে। সিআইডির কাছে কোনও গোপন তথ্য আছে কি না জানতে চেয়ে তিনি  রাজ্যকে সময় দিয়েছেন আরও এক দিন। এই মামলারই আজ ফের শুনানি হবে। মুলত ১৬ ডিসেম্বর রাজ্য সরকার  সিট গঠনের কথা জানায় আরামবাগে শিশু পাচারের অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত এড়াতে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত  বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এও জানান, রাজ্য সরকার একজন সিনিয়র সিআইডি অফিসার-এর নেতৃত্বে সিট গঠন করেছে এই ঘটনা তদন্ত করে দেখার জন্য।

মামলার বয়ান অনুযায়ী আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে ৩  সেপ্টেম্বর এক যুবতি একটি সন্তানের জন্ম দেন । পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর এলাকায় অবস্থিত তাঁর শ্বশুরবাড়ি । কিছুদিন আগে তিনি এমনকি আরামবাগে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর। অভিযোগ উঠেছে সন্তান হওয়ার পর সদ্যোজাতর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেও । মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খোঁজখবর নিলে  সন্তান মারা গিয়েছে বলে প্রথমে জানানো হয়। ওই যুবতির শ্বশুরবাড়ির লোকজন আদালতের দ্বারস্থ হন  অগত্যা বাধ্য হয়েই। তাঁদের বাচ্চাকে পাচার করা হয়েছে বলেই  এমনকি তাঁরা অভিযোগ জানান। গত সপ্তাহে মামলার শুনানিতে আদালতে পুলিশের তরফে জানানো হয় সদ্যোজাত অসুস্থ থাকায় পরিবার তাকে নেয়নি। তাই সন্তানকে এক চিকিৎসকের গাড়ির চালককে দিয়ে দেন মা । কিন্তু তারপরই শিশুটি অসুস্থ হয়ে মারা যায় । তখন দেহটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *