‘দেশি জুগাড়’,মাওবাদীদের হাতে, ‘গ্রেনেড লঞ্চার’ বানিয়ে ফের হামলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে মঙ্গলবার ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা। সিআরপিএফ-এর তিন জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন গুলির লড়াইয়ে। জখম হয়েছেন আরও জনা পনেরো কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে , ঘরোয়া পদ্ধতিতে রকেটের মতো ব্যারেল বানিয়ে ফেলেছে মাওবাদীরা। যেটাকে বলা হয় ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (বিজিএল)। একেবারে ঘরোয়াভাবে তৈরি করা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হল এই বিজিএল। পিটিআই সূত্রে খবর, ২০২১ সাল নাগাদ নকশালরা এই ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার বানিয়েছিল। সিআরপিএফ-এর এক সিনিয়র অফিসার পিটিআইকে জানিয়েছেন, এই ধরনের এক ডজন বিজিএল দিয়ে মঙ্গলবার হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা।
অপর এক অফিসার জানিয়েছেন, অন্তত জনা ছয়েক জওয়ান এই রকেট হানার জেরে স্প্লিন্টারে আঘাতে জখম হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গতকাল মাওবাদীরা যে এলাকায় এই হামলা চালিয়েছিল, সেই তেকালাগুদিয়াম গ্রামটি একেবারে বিজাপুর ও সুকমা জেলার সীমানায় অবস্থিত। ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী শহর রায়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দক্ষিণে। জানা যাচ্ছে, বারুদে ঠাসা এই বিস্ফোরকগুলি অনেকটা রকেটের মতো দেখতে লোহার ঢাকনায় মোড়া থাকে। আর নীচের দিকে অনেকটা পাখনার মতো করা থাকে, যাতে এগুলি সহজে নিক্ষেপ করা যায়।
জানা গেছে বস্তারের এক প্রত্যন্ত এলাকায় সিআরপিএফ-এর তরফে একটি নতুন ক্যাম্প চালু করা হয় । আর সেদিনই ঘটে এই মাওবাদী হামলা। আধাসামরিক বাহিনীর এক সিনিয়র কমান্ডার পিটিআইকে জানিয়েছেন, এর আগেও যখন কোনও ফরওয়ার্ড অপারেটিং বেস তৈরি করেছে সিআরপিএফ, তখনও বিভিন্ন ধরনের হামলা হয়েছে। এই ঘটনাও তারই সংযোজন। জানা যাচ্ছে, গত তিন বছর ধরে বস্তারের বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে প্রায় ৩০টি ফরওয়ার্ড অপারেটিং বেস তৈরি করেছে সিআরপিএফ।