ধর্ষিতার বোনেরও শ্লীলতাহানি, বাবাকে গাছে বেঁধে মার, উন্নাওকাণ্ডের তদন্তে সামনে এলো চমকে দেওয়ার মতো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গত রবিবার দুর্ঘটনার পরেই উন্নাওয়ের ধর্ষিতার মা জানিয়েছিলেন , জেল থেকে বিধায়ক কুলদীপ সেনগারই তাঁদের মারার চক্রান্ত করেছেন। পরে তাঁকে জেরা করে করে উঠে এল আরও এক চমকপ্রদ চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি বলেছেন, কুলদীপের ঘনিষ্ঠরা শ্লীলতাহানি করেছে তাঁর আর এক মেয়েরও । তাঁর স্বামীকে মারধর করেছে গাছে বেঁধে। তাতে তাঁর কিডনির গুরুতর ক্ষত হয়।

কিছুদিন আগে উইমেন রাইটস প্যানেলের প্রতিনিধিদের সামনে বিধায়কের অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন নিগৃহীতার মা। তিনি আরওজানান , কুলদীপের গুন্ডারা তাদের বাড়িতে এসে নিয়মিত হুমকি দিত। মামলা তুলে নিতে বলত বিধায়কের বিরুদ্ধে। সেই সময় তারা আমার ছোট মেয়েরও শ্লীলতাহানি করেছিল। তাঁর কথায়, গুন্ডারা একবার আমাদের বাড়িতে হানা দিয়ে আমার শাশুড়িকেও মারধর করেছিল। আমার স্বামীকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মেরেছিল। পরে গুন্ডারা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। সরকার কোনও সাহায্য করেনি আমাদের।দেওয়া হয়নি কোনও ক্ষতিপূরণও। উল্ল্যেখ্য গত বছর ৩ এপ্রিল উন্নাওয়ের ধর্ষিতার বাবাকে বিধায়কের ভাই অতুল সেনগার মারধর করে। পরে বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে গ্রেফতার করা হয় তার বাবাকেই। জেলের মধ্যেই এক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান তিনি । অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচারেই মারা গিয়েছিলেন তিনি।

ধর্ষিতার মায়ের আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের বাধা দিচ্ছিল অভিযুক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করতে । এক বছর ধরে পুলিশ তাদের নানাভাবে হেনস্থা করেছে। পরে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের লোকজন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে গায়ে আগুন দিয়ে মরার চেষ্টা করেন। তখনই উন্নাওয়ের ঘটনা জানাজানি হয় সকলের কাছে । তার পরে মামলার তদন্ত চলতে থাকে। এর মধ্যেই রহস্যজনকভাবে মারা যান ধর্ষিতার পরিবারেরই একজন । গত রবিবার এক দুর্ঘটনায় মেয়েটির আরও দুই আত্মীয়ের মৃত্যু হয়। মেয়েটিও গুরুতর আহত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *