পদক্ষেপ কি করা যাবে না ১০ বছর পরেও ? বিচারপতিরপ্রশ্ন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আদালত থেকে রক্ষাকবচ রয়েছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আর এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা। সুমন সিংহ নামে এক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা করেছেন আদালতে। তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রাম, বড়জোড়া, নয়াগ্রাম-সহ বেশ কিছু জায়গায় শুভেন্দুর বক্তব্য পঞ্চায়েতের অশান্তিতে প্ররোচনা দিয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এমনকী ভোটের দিনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। এমন অবস্থায়, হাইকোর্ট যাতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয় সেই আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী সুমন সিংহ।

জনস্বার্থ মামলা সাধারণত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতি না থাকায় আজ মামলাটি শোনেন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানিতে মামলাকারীর বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। কারণ, হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। মামলাকারী বক্তব্য, যখনই কোনও অভিযোগ জানাতে যাওয়া হচ্ছে, পুলিশের তরফে হাইকোর্টের নির্দেশ দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এখানেই মামলাকারীর দাবি, আদালতের পূর্ব নির্দেশ ছিল অন্যায়ভাবে এফআইআর করা যাবে না। কিন্তু যদি কোনও অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে মনে হয়, সেক্ষেত্রেও এফআইআর করা যাবে না, এমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

যদিও রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্যের প্রশ্ন, আদালত থেকে যদি অনুমতি না পাওয়া যায়, তাহলে রাজ্য কীভাবে এফআইআর করবে? রাজ্যের দাবি, আদালত যদি অনুমতি দেয়, তাহলে রাজ্যের তরফে পদক্ষেপ করতে কোনও আপত্তি নেই। রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, এর আগেও পুলিশের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের কারণে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি।

মামলার শুনানিতে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, যদি আদালত কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআরের উপর নিষেধাজ্ঞা জারিও করে, তাহলে কি ১০ বছর পরেও কোনও অভিযোগ উঠলে পুলিশ এফআইআর করতে পারবে না? যদি কোনও নির্দেশ অন্তঃসারশূন্য হয়, তাহলে কি সেটি বাতিল করা বা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না? প্রশ্ন বিচারপতির। আজ ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *