পাউডার ব্যবহার করছেন গরম থেকে বিশেষ আরাম পেতে? জানেন কি ক্যানসার ডেকে আনছেন চুপিসাড়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভ্যাপসা গরম, তার মাঝে অতিরিক্ত ঘাম। অনেকেই আছেন যারা ঘাম থেকে বাঁচতে ঘরের মধ্যে নানান রকমের পাউডারের বোতল রেখে দেন। অতিরিক্ত গরম বা ঘাম থেকে সাময়িকভাবে আরাম পেতে যদি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে একটু সাবধান। অতিরিক্ত ট্যালকম পাউডার ব্যবহারে ক্যানসার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গরমকাল মানেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘাম, ঘামাচির নানান সমস্যা। ঘামের গন্ধেতে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন। এই অবস্থায় বেছে নেন ডিওডোরেন্ট কিংবা ট্যালকম পাউডার। যা ব্যবহারের পর মেজাজ ফুরফুরে হলেও শরীরে ছড়িয়ে দেয় মারাত্মক বিষ। বাজারে আপনি বিভিন্ন গন্ধের ট্যালকম পাউডার কিনতে পাবেন, বিভিন্ন ফ্লেভারের রয়েছে। বলা হয় ত্বকের অত্যাধিক আদ্রতা কিংবা ঘামের জেরে যদি ত্বকের কোন সমস্যা তৈরি হয় তা সমাধানে ব্যবহার করা যেতে পারে ট্যালকম পাউডার। এই পাউডারের এমন কিছু উপাদান থাকে যা আদ্রতা শোষণ করে। কিছু যদি প্রতিদিন আপনি অতিরিক্ত ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন তাহলে একটু সাবধান।
মূলত ,অনেকেই বিছানায় একটু পাউডার ছড়িয়ে দেন গরমে ঘুমানোর আগে, যাতে আরামে ঘুম হয়। কিন্তু এই পাউডারের যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনই খারাপ দিক রয়েছে। এও বলা হয় অতিরিক্ত পাউডার লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। ত্বকের সামান্য সমস্যা জটিল জটিল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারে। নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার আপনার ত্বক থেকে কমিয়ে দেয় প্রাকৃতিক তেলের পরিমাণ। যার কারণে ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে আসে ত্বক। এছাড়াও পাউডারে এমন কিছু খনিজ উৎপাদন ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে বা ইনফেকশন রয়েছে তাদের বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া উচিত। বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ট্যালকম পাউডার ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
সাধারণত ট্যালকম পাউডারে ট্যাল্ক নামক একটি পদার্থ থাকে যা ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকন, অক্সিজেন দ্বারা গঠিত। এটি খুব দ্রুত আদ্রতা শোষণ করে এবং ত্বককে ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে রক্ষা করে। আবার কিছু কিছু পাউডারে ব্যবহার করা হয় অ্যাসবেসটস। যদি এটি শ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে তাহলে বৃদ্ধি পায় ক্যানসারের আশঙ্কাও । মূলত আমেরিকার একটি গবেষণা এও দেখা গিয়েছে, যৌনাঙ্গ সংলগ্ন স্থানে অতিরিক্ত পরিমাণে এই পাউডার ব্যবহার করলে অনেকটা বেড়ে যায় ওভারিয়ান ক্যানসারের ঝুঁকি । এছাড়াও হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও বৃদ্ধি পায় । এমনকি দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও হতে পারে ফুসফুসের কোষেরও ।