বিপর্যয়ের’ তীব্রতা আরও বাড়বে পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টায় , অবশেষে সতর্ক করা হল মৎসজীবীদের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আগামী ৩৬ ঘন্টার মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করতে চলেছে ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’। শুক্রবার সকালে টুইট করে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD)। দিল্লির মৌসম ভবনের মতে, পরবর্তী দুই দিনে এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর – উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। টুইটে আইএমডি জানিয়েছে, ৮ জুন রাত ১১টা বেজে ৩০ মিনিটে গোয়া থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম – দক্ষিণ-পশ্চিমে পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপরে অবস্থিত ছিল অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি। মুম্বই থেকে ছিল ৮৭০ কিলোমিটার পশ্চিম – দক্ষিণ-পশ্চিমে। এর আগের এক বুলেটিনে, আবহাওয়া বিভাগ বলেছিল, “৮ জুন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপরে গোয়ার থেকে প্রায় ৮৬০ কিলোনমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মুম্বইয়ের ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর – উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছিল মৌসম ভবন।
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ক্রমে উত্তর – উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হওয়ায় গোয়া এবং গুজরাটে এই ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। তাই ওই এলাকার মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বন্দর এবং গভীর সমুদ্র থেকে তাঁদের অবিলম্বে উপকূলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে এবং বন্দরগুলিতে ‘ডিসট্যান্ট ওয়ার্নিং সিগন্যাল’ উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহমেদাবাদের আবহাওয়া কেন্দ্রের ডিরেক্টর মনোরমা মোহান্তি বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, ১০ থেকে ১২ জুন বাতাসের গতিবেগ ৪৫ থেকে ৫৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যেতে পারে। এমনকি, ৬৫-নটিক্য়াল মাইলও স্পর্শ করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দক্ষিণ গুজরাট এবং সৌরাষ্ট্র-সহ উপকূলীয় অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি এবং বজ্রগর্ভ মেঘ-সহ ঝড় হতে পারে। সমস্ত বন্দরকে দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত তুলতে বলা হয়েছে।” ঘূর্ণিঝড়ের প্রেক্ষিতে, উপকূলীয় এলাকাগুলি থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে আসা হতে পারে। জামনগরের জেলাশাসক বিএ শাহ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে জেলার উপকূলরেখায় অবস্থিত ২২টি গ্রামের প্রায় ৭৬,০০০ মানুষকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হতে পারে। এর জন্য তাঁরা বিস্তৃত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এদিকে, বিপর্যয়ের জন্যই ভারতে প্রায় ১ সপ্তাহ দেরিতে ঢুকেছে বর্ষা। ১ জুনই কেরলে প্রবেশ করা কথা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর। পরিবর্তে, কেরলে বর্ষা এসেছে বৃহস্পতিবার (৮ জুন)। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমগ্র কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের দিকে বর্ষা এগোবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বঙ্গোপসাগরের শাখাটিও এই সময়ে মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুরের কিছু অংশে অগ্রসর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই উত্তর পূর্ব ভারতেও বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে দু-একদিনের মধ্য়েই।