বেসরকারি বাসের মধ্যে চালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল শহর কলকাতায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অস্বাভাবিক মৃত্যু হল ঢাকুড়িয়া-হাওড়া রুটের বেসরকারি বাস চালকের।এক বাস চালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৩৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ডে বাসের ভিতর থেকে। অন্য বাস চালক-কন্ডাক্টরদের দাবি অভাবের কারণেই বাস চালক আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই। বৃহস্পতিবার তখন সকাল ৬টা, প্রথম বাসের জানলার কাঁচ দিয়ে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান ৩৭ নম্বর রুটের স্টার্টার। কাছে গিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন ওই বাসের চালক রঞ্জিত দাস। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে লেক থানায় খবর দেওয়া হলে। পরে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালে পাঠানো হলে।
প্রসঙ্গত রাজ্য জুড়ে গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে কড়া বিধি নিষেধ জারি রয়েছে করোনা আবহে। যার জেরে বন্ধ ছিল বাস চলাচল। তাই পারিশ্রমিকও মিলছিল না, অন্যান্য বাস চালকদের এমনই অভিযোগ এক্ষেত্রে। তাঁদের আরও বক্তব্য, রঞ্জিত অভাব অনটনের কথা বলতেন মাঝে মাঝেই। এমনকি যেতেন না তার নিজের বাড়িতেও। রাতে ঘুমিয়ে পড়তেন বাসের মধ্যে। বুধবার রাতেও ছিলেন বাসেই। এদিন সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল তাঁকে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বাস না চললে কমিশন বন্ধ তাঁদের। সকলের পরিবার আছে, এই ভাবে কত দিন চলবে, তা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন।
এদিন দেহ উদ্ধারের পর লেক থানার পুলিস বাস মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইতিমধ্যে রুজু করা হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও।তবে পুলিস কথা বলেছে ওই স্ট্যান্ডের অন্যান্য বাস চালকদের সঙ্গে। তাঁরা যে অভাব অনটনের অভিযোগ করছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধুই কী অভাব, নাকি আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে এমনকি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও। প্রাথমিক ভাবে পুলিস আত্মহত্যা বলে মনে করছে। ইতিমধ্যে দেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। যোগাযোগ করা হয়েছে এমনকি পরিবারের সঙ্গেও। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল কিনা পুলিস তাও খোঁজ করছে। জানার তদন্তকারীরা প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন অভাবে কারও থেকে টাকা ধার নিয়েছিল কিনা তাও।