ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটের মুখে দেশ! ২৩ শতাংশ ভারতীয় পড়তে চলেছে চরম অনাহারের মুখে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দেশের ফসল উৎপাদনের কাজ ক্রমশ কমছে জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তন, কর্পোরেটের দখলে কৃষিজমি, বন্যায় বিধ্বস্ত থেকে শুরু করে তাপপ্রবাহ সহ একাধিক কারনে। আর এই কারনের জেরেই কৃষিজ উত্পাদনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে , এমনকি ব্যহত হচ্ছে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলা। আর এর জেরেই আরও ২৩ শতাংশ বেশি ভারতবাসীকে অনাহারের মুখে পড়তে হবে ২০৩০ সালের মধ্যেই । এমনই এক ভয়ঙ্কর এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা কেন্দ্রের বৈশ্বিক খাদ্য নীতি রিপোর্ট ২০২২-এ।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষকদের দাবি, এর সঙ্গে যদি ধরা হয় জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাবকে, সেই ক্ষেত্রে অনাহারের ঝুঁকিতে পড়বে ৯.০৬ কোটি ভারতবাসী (২২.৬৯ শতাংশ বেশি) । ভারতের খাদ্য উত্পাদনের পরিমাণ মাপা হয় মূলত ‘এগ্রিগেট ফুট প্রোডাকশন’ সূচক দিয়ে। এই সূচকের আওতায় রয়েছে খাদ্যশস্য, মাংস, ফল, শাকসবজি, তৈলবীজ, ডাল – সবই। রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন না থাকলে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই সূচক ১.৬২৭-এ থাকত ২০৩০ সালে । তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ধরলে এই সূচক নেমে যাবে ১.৫৪৯-তে।
ইমপ্যাক্ট মডেল অনুসারে মূলত এই অনুমানগুলি করা হয়েছে। কী এই ইমপ্যাক্ট মডেল? জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কৃষি বাজারের অনুকরণ করে এই মডেল। এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক, জল ব্যবস্থা এবং ফসল উত্পাদনের মডেলগুলি সমীক্ষা করে। এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতব্যাপী তাপমাত্রার বৃদ্ধির কথাও। আরও অনুমান করা হয়েছে, ২১০০ সালের মধ্যেই ভারতের গড় তাপমাত্রা বাড়তে পারে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। একই সময়ে অনুমান করা হয়েছে গ্রীষ্মকালে তাপপ্রবাহের পরিমাণ তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যাবে বলেও।
এদিকে গবেষকদের আশঙ্কা, কৃষিজ উত্পাদনে পড়তে চলেছে এই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির বড় প্রভাব। তাদের দাবি, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে ভারতের কৃষি ফলন পাল্লা দিয়ে পর্যায়ক্রমে কমবে । প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৪১ থেকে ২০৬০ সালের মধ্যে কৃষিজ উত্পাদন কমে যেতে পারে ১.৮ থেকে ৬.৬ শতাংশ। ২০৬১ থেকে ২০৮০ সালের মধ্যে কৃষিজ উত্পাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে ৭.২ থেকে ২৩.৬ শতাংশ পর্যন্ত।