মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ওয়ান ইজটু ওয়ান’মন্ত্র কেন্দ্রে বিজেপিকে উৎখাত করতে , পঞ্চায়েতে বিরোধীদের অস্ত্র সেই ফর্মুলা-ই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শাসককে পর্যুদস্ত করতে সব পক্ষের মুখে একটাই স্লোগান, একের বিপক্ষে এক। এ রাজ্যে বিরোধী শিবিরও শাসক তৃণমূলকে হারাতে একের বিপক্ষে এক নীতির কথা বলছে। উল্টো দিকে মোদীকে হারাতে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ফর্মুলাও একের বিপক্ষে এক।
তৃণমূলকে হারাতে বিরোধী জোটের কথা রাজ্য রাজনীতিতে প্রায়ই শোনা যায়। যে পরীক্ষা নিরীক্ষার ফসল সাগরদিঘি মডেল অথবা নন্দকুমার মডেল। এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। শোনা যাচ্ছে, এবারের পঞ্চায়েতের ভোটেও নাকি আসন ভাগাভাগি করেছে বিরোধী দলগুলি। সবথেকে বেশি সমঝোতা করেছে বাম-কংগ্রেস। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের চালু জল্পনা উত্তরবঙ্গের কোচবিহার , জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং দক্ষিণ দিনাজপুর এ বিজেপিই মূল প্রতিপক্ষ শাসক তৃণমূলের কাছে। সেখানে আবার বহু আসনে প্রার্থী দেয়নি বাম-কংগ্রেস।
উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ আবার বাম-কংগ্রেস জোট। দক্ষিণবঙ্গে কোথাও আবার বাম, কোথাও বা বিজেপি মূল প্রতিপক্ষ হয়ে লড়তে চাইছে। বাংলার রাজনীতিতে যখন এই ওয়ান ইজটু ওয়ান লড়াই এর পদধ্বনি তখন জাতীয় স্তরেও মোদীর বিরুদ্ধে ওয়ান ইজটু ওয়ান ফর্মুলাতেই ভরসা মমতার। সূত্রের দাবি, পটনার বিরোধী জোটের বৈঠকে এই ফর্মুলা নিয়েই সাওয়াল করেছে তৃণমূল। এদিনের বৈঠকে ছিলেন দেশের ১৫টি বিরোধী দলের নেতারা। এই বৈঠক থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগেছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর সাফ দাবি, বিজেপি বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, মহিলাদের নিরাপত্তা, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে ভাবে না। স্পষ্টই এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “২০২৪ সালে বিজেপি জিতলে আর কোনো নির্বাচনই হবে না ভবিষ্যতে ।” মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এদিন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকেও বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় । লড়াইয়ে এমনকি একযোগে চলার ডাকও ওঠে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধ।