‘মিথ্যা বিবৃতি’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে! চরম বিপাকে রাহুল-কেজরিওয়াল, দায়ের হল মামলা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ। শোরগোল তুলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করা হয়েছে এই বিষয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছেন, এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ সমাজকর্মী সুরজিত সিং যাদব। বুধবার প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বাধীন একটি ডিভিশন বেঞ্চের সামনে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করা হয়েছে। ঋণ মকুবের বিষয়ে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। পিটিশনে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) কে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করার এবং বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে দুই রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

আদালতে তোলা জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে এমন বিবৃতি ভারতীয় গণতন্ত্রের ভাবমূর্তি এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আর সেই উদ্দেশ্যেই এহেন মন্তব্য করা হয়েছে। সুরজিত সিং যাদব, নামে এক সমাজকর্মী মামলা দায়ের করে আদালতকে জানিয়েছেন দুটি মিডিয়া সংস্থা তাদের নিজ নিজ ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রাহুল গান্ধী ও কেজরিওয়ালের ঋণখেলাপি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা দাবি প্রচার করে তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন হয়েছে।

আবেদনে দাবি করা হয়েছে ‘একটি চ্যানেলের খবরে প্রকাশ করা হয়েছিল ৫০ জন ঋণ খেলাপিদের ঋণ মুকুব করা হয়েছে এবং সেই ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা যার মধ্যে মেহুল চোকসির নাম রয়েছে। এটি প্রায় ২ বছর আগে প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও অপর এক “ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়াতে আর ও একটি ১১ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মুকুবের খবরও পরিবেশিত হয়।

এছাড়াও আবেদনে বলা হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৫-১০ জন শিল্পপতির ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মুকুবের বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে তা মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। আবেদনে আরও বলা হয়েছে দুই রাজনীতিবিদদের দেওয়া বিভ্রান্তিকর বিবৃতি এবং মিডিয়ার মাধ্যমে তা প্রচার পাঠক ও দর্শকদের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *