রামের বংশধররা আবার পাগড়ি পরলেন ৫০০ বছরের পুরোনো ব্রত ভেঙে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ :আর মাত্র দুদিন, তারপরই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। আর এর মধ্য দিয়ে ৫০০ বছরের পুরোনো ব্রত ভাঙবেন সূর্যবংশী ঠাকুররা। মূলত অযোধ্যার সরাইরাসি গ্রামে থাকে এই সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রায় ৫০০ বছর ধরে তাঁরা পাগড়ি পরেননি। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আগে ফের পাগড়ি পরার সুযোগ এসেছে তাঁদের কাছে। আসলে, প্রায় ৫০০ বছর আগে তাঁদের পূর্বপুরুষরা শপথ নিয়েছিলেন, রাম মন্দিরের পুনর্নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আর পাগড়ি পরবেন না। অবশেষে তাঁদের সেই মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হতে চলেছে। আর তাই অবশেষে ব্রত ভাঙলেন তাঁরা।

কারা এই সূর্যবংশী ঠাকুর? রাজপুত সম্প্রদায়ের একটা অংশ হলেন এই সূর্যবংশী ঠাকুররা। রাজপুতদের মধ্যে তিনটি ভাগ আছে – চন্দ্রবংশী, সূর্যবংশী, অগ্নিকূল প্রমুখ। চন্দ্রবংশীরা হলেন মহাভারতের নায়ক, কৃষ্ণের বংশধর। অগ্নিকুল হল অগ্নিদেবের পরিবার। আর সূর্যবংশীরা নিজেদের রামের বংশধর বলে দাবি করেন। অযোধ্যা অত্যন্ত প্রাচীন শহর। এই শহর রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করেন হিন্দুরা। রামের বাবা রাজা দশরথের কোশল রাজ্যের রাজধানী ছিল অযোধ্যা। খ্রিস্টীয় একাদশ এবং দ্বাদশ শতকে অযোধ্যাতেই কনৌজ রাজ্যের উত্থান ঘটেছিল। অযোধ্যাকে তখন বলা হত আওধ। এরপর, দিল্লির সুলতানশাহি, জৌনপুর রাজ্য এবং অবশেষে ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় অযোধ্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *