হাসপাতালই খুঁজে দিল কোরোনামুক্ত বৃদ্ধার আশ্রয়স্থল

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অকেজো হাসপাতালে দেওয়া ফোন নম্বর।এমনকি পরিজনরাও থাকেন না প্রদত্ত ঠিকানায়। তাঁরা বাড়ি বিক্রি করে অন‍্যত্রও চলে গিয়েছেন‌ বহু বছর আগেই। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার ইনফেকশাস ডিজ়িজ়েস অ্যান্ড বেলেঘাটা জেনেরাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্রয় খুঁজে দিল বছর ৮৫ -র কোরোনামুক্ত এক বৃদ্ধাকে।

কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে মূলত ভরতি করা হয়েছিল বেলেঘাটা জেনেরাল হাসপাতালে। এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এও জানা গিয়েছে, ভরতি করানোর সময় এই বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা চরম সংকটে ছিল মাস খানেক আগে। তবে, তিনি ক্রমশ সুস্থ হয় ওঠেন। তাঁকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এমনকি হাসপাতাল থেকেও। এদিকে কোরোনামুক্ত এই বৃদ্ধাকে ছুটি দেওয়া হবে হাসপাতাল থেকে, কিন্তু কে তাঁকে নিতে আসবেন? স্বাভাবিক কারণেই ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় এই বৃদ্ধাকে ভরতি করানোর সময় যে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল সেই নম্বরে। কিন্তু দেখা যায় অচল হয়ে রয়েছে ওই নম্বরটি।

ফলে ফোন নম্বর অকেজো থাকার কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হাসপাতালে দেওয়া ওই ঠিকানায় এই বৃদ্ধাকে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই মতো ১০২ নম্বরের একটি অ্যাম্বুলেন্স তাঁকে নিয়ে এসে পৌঁছায় হাওড়ার ব‍্যাঁটরা থানার অন্তর্গত ওই ঠিকানায়৷ ওই ঠিকানায় পৌঁছানো মাত্রই দেখা দেয় আর এক নতুন বিপত্তি। বেলেঘাটা জেনেরাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, ওই ঠিকানায় পৌঁছানোর পর দেখা যায়, ওই ঠিকানায় বর্তমানে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কেউ এই বৃদ্ধার পরিজন নন। তবে অ্যাম্বুলেন্সের চালক এ কথা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি। যে কারণে তিনি কথা বলেন এমনকি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে অবশেষে জানতে পারেন, যাঁরা ওই ঠিকানায় বর্তমানে বসবাস করছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ এই বৃদ্ধার পরিজন নন। এই বৃদ্ধার পরিজনরা এই বাড়ি বিক্রি করে অন‍্যত্র চলে গিয়েছেন বহু বছর পূর্বেই।

এ কথা জানার পরই চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন অ্যাম্বুলেন্সের চালক শত্রুঘ্ন চৌধুরি। তিনি ফোনে যোগাযোগ করেন হাসপাতালের অ্যাসিস্ট‍্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট সুতপা মজুমদারের সঙ্গে। যোগাযোগ করা হয় এমনকি ১০২ নম্বর অ্যাম্বুলেন্সের কো-অর্ডিনেটর সোহম বেরার সঙ্গেও। এদিকে, গোটা বিষয়টি জানানো হয় বেলেঘাটা হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল আশিস মান্নাকে৷ বৃদ্ধাকে ফের হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর নির্দেশেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *