৯ বছরের মেয়েকে ‘ধর্ষণ ও খুন’ দিল্লিতে, রাহুল গান্ধি দাঁড়াল পরিবারের পাশে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিল্লিতে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগকারী পরিবারের সঙ্গে আজ বুধবার সকালে দেখা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। অভিযোগ ওঠে, সোমবার ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে এবং দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে পরিবারের না জানিয়েই। সোমবার থেকেই রাজধানী একরকম উত্তাল এই ঘটনার জেরে। আরও অভিযোগ উঠেছে ওল্ড নাঙ্গাল গ্রামে খুন করার পর নির্যাতিতার পরিবারকে চাপ দিয়ে দেহ দাহ করা হয় বলেও। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ অবশেষে গ্রেফতার করেছে এক পুরোহিত ও শ্মশানের তিন কর্মীকে। এমনকি এলাকার বাসিন্দারাও পথে নামেন এই ঘটনার প্রতিবাদে।
পরিবারের সাথে দেখা করার পর রাহুল গান্ধি জানিয়েছেন , ‘আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। বিচার ছাড়া তাঁরা আর কিছুই চান না। তাঁদের আরও দাবি, কোনও সুবিচার হয়নি এবং কোনো রকম সহযোগিতাও করা হচ্ছে না। আমি তাঁদের পাশেই রয়েছি। আরও জানা গেছে যতক্ষণ না তাঁরা সুবিচার পাচ্ছেন রাহুল গান্ধি তাঁদের পাশে থাকছেন।’ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা হলেন শ্মশানের এক পুরোহিত নাম রাধে শ্যাম। তাঁর সহযোগী ছিলেন কুলদীপ কুমার (৬৩), লক্ষ্মী নারাইন (৪৮) এবং মহম্মদ সেলিম (৪৯)।
পুলিশ এও জানিয়েছে, দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পুরানা নাঙ্গলে ৯ বছরের ওই নাবালিকার বাড়ি। গ্রামে তার বাবা -মায়ের সাথে শ্মশানের সামনে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত মেয়েটি ও তার পরিবার। রবিবার সন্ধেয় শ্মশানের কুলার থেকে পানীয় জল আনতে যায় সে। তারপর আর ফেরেনি। পরিবারের দাবি, নাবালিকার মাকে শ্মশানে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন এসে। অভিভাবককে জানানো হয়, নাবালিকা বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে জল নিতে গিয়েই।পরিবারের লোকের আরও অভিযোগ, মৃতের মাকে বোঝানো হয়, ময়নাতদন্ত হবে মামলা দায়ের করলে। তাহলে তাঁর মেয়ের অঙ্গ চুরি করা হবে। তাই নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হোক অবিলম্বেই। তুমুল বিতর্ক শুরু হয় এই নিয়েই।