বিজেপি উপনির্বাচনে ভেসে গেল সবুজ-সুনামিতে, কী কারণ তৃণমূলের বিপুল জয়ের নেপথ্যে? জানুন একবার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তৃণমূল পেল আরও একটা বিপুল জয়।তৃণমূল প্রার্থীরা চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জয় ছিনিয়ে নিলেন বিজেপিকে উড়িয়ে দিয়ে। একুশের নির্বাচনে নিজেদের জেতা দুটি কেন্দ্র তো তারা ধরে রাখলই, এদিকে শান্তিপুর ও দিনহাটাও তারা ছিনিয়ে নিল বিজেপির হাত থেকে। ফলে তৃণমূল ২১৭-তে পৌঁছে গেল চার-চারটি কেন্দ্রে জিতে। আর বিধানসভায় তৃণমূলের শক্তি ট্রিপল ২ অর্থাৎ ২২২ বিজেপি ছেড়ে আসা পাঁচ বিধায়ককে ধরলে।
আকাশ ছোঁয়া জয় তৃণমূলের কিন্তু কীভাবে এল এই বিপুল জয়, কোন জাদু বলে বিজেপিকে উড়িয়ে ফের জয়ের সরণিতে ফিরল তৃণমূল? : মূলত তৃণমূল খানিক মুষড়ে পড়ছিল ২০১৯-এ বিজেপির কাছে নৈতিক হারের পর। তখন থেকেই বিজেপি শুরু করেছিল ২০২১-এর স্বপ্ন দেখা। এদিকে ভাঙনও নেমে এসেছিল তৃণমূলে। কিন্তু তৃণমূল ২০২১-এ বিজেপিকে পর্যুদস্ত করেছে ভাঙনের সেই অন্ধকার পেরিয়ে এসে। রেকর্ড সংখ্যক আসনে জিতে বাংলায় ফের ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল।
বাংলার রাজনৈতিক চিত্রে শুধুই তৃণমূল: বাংলার রাজনৈতিক চিত্রটাও এমনকি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে ২০২১-এর কুরুক্ষেত্র জেতার পরই। এমনকি বাংলার মানুষের মোহভঙ্গও হয়েছে বিজেপির প্রতি। বিজেপির থেকে অবশেষে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আবার তৃণমূলকেই ভরসা করতে শুরু করে দিয়েছে বাংলার মানুষ। আর তার প্রতিফলনই দেখা গেল বিধানসভা ভোট-পরবর্তী সাতটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই। এছাড়াও বিপুল সাফল্য এসেছিল আগের তিনটি কেন্দ্রেই। এবার সাফল্য এল চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই, তৃণমূল পেরিয়ে গেল সেই সাফল্যকেও।
প্রশান্ত পরিকল্পনার ফসল এই জয়: রাজনৈতিক মহল এও মনে করছে,ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের অবদান অগ্রাহ্য করা যাবে না ২০১৯-এর পর তৃণমূলের পক্ষে সমীকরণ বদলে যাওয়ার পিছনে। তিনি প্রচার চালিয়েছেন যে লাইনে, যে সমস্ত প্রকল্পের সূচনা বেরিয়েছে তাঁর মস্তিষ্ক থেকে, তৃণমূল তার ফল পাচ্ছে। যেখানে মানুষ হাতে নাতে উপকার পাচ্ছে, বিজেপি বা অন্য বিরোধীরা তা থেকে মানুষের মন ঘোরাবে কী করে।
তৃণমূল হয়ে উঠেছে ভরসার একমাত্রস্থল: তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের প্রাধান্য দেওয়ার যে প্রবণতা তৈরি করেছেন, তাতে হালে পানি পাচ্ছে না বিজেপ। তার প্রভাব পড়ছে এমনকি বুথে বুথেও। মহিলারা হাত খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ভোট দিয়েছেন। তার ফলে তৃণমূলের উত্তরোত্তর বেড়েছে জয়ের ব্যবধানও। অবশেষে তৃণমূল হয়ে উঠেছে রাজ্যের জনগণের ভরসার একমাত্রস্থল। উপনির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে উপড়ে ফেলে দিয়েছে।