অপরাধের ধরন ক্রমশ বদলাচ্ছে, ক্রমেই জামতাড়া গ্যাং মাথাব্যথা হয়ে উঠছে পুলিশের কাছে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাং নিজেদের অপরাধের ধরণ বদলাচ্ছে খুব দ্রুততার সাথে। পশ্চিমবঙ্গ এবং যা ক্রমশ চিন্তায় ফেলছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদেরকেও। পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে, এই কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাং ক্রমেই নিজেদের এগিয়ে রাখার চেষ্টা করছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারীদের কোথাও যেন পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে।

মূলত এই জামতাড়া গ্যাং সিদ্ধহস্ত ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ক্ষেত্রে। তদন্তকারীদের আরও অনুমান এই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ব্যাঙ্কের লোকজন। তা না হলে এতটা নিখুঁত ভাবে এই প্রকারের অপারেশন চালানো সম্ভব নয় দিনের পর দিন।সম্প্রতি একাধিক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনাও সামনে এসেছে কলকাতা ও হুগলি জেলা থেকে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা দেখেন, প্রত্যেকটি জালিয়াতির ঘটনায় জামতাড়ার সদস্যরা টাকা তুলেছে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আগের অপরাধের ধরণগুলি ছিল তথাকথিত গ্রাহককে ফোন করে তার ব্যাঙ্ক অ্যাক্যাউন্ট খালি করে দেওয়া । কিন্তু এবারে তদন্তে উঠে এসেছে এই গ্যাং চোখের পলকে টাকা তুলেছে এক বিশেষ স্কিমিং মেশিন সিস্টেমের দ্বারা৷যাতে অভিযোগকারী আগে থেকেই আইনের দ্বারস্থ হতে না পারেন সজাগ হয়ে।

ফলে এই গ্যাং তদন্তের স্বার্থে নিজেদের বাঁচাতে প্রযুক্তিগত সাহায্য নিচ্ছে এক্ষেত্রে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই জামতাড়া গ্যাং গোটা পুলিশ বিভাগের মাথা ব্যাথার একটা অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। এরা নিজেদের জাল ছড়িয়ে রেখেছে প্রায় গোটা ভারতবর্ষ জুড়েই৷ কলকাতা পুলিশের অপর এক আধিকারিক জানান, একটা সময় তাদের অপরাধের ধরণ চিহ্নিত করে এই গ্যাংকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরা এবার আধুনিক প্রযুক্তিগত বিদ্যাকে কাজে লাগাচ্ছে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে৷

পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু জায়গায় বিশেষ করে এই বিশেষ গ্যাংয়ের রীতিমতো হাতেকলমে ট্রেনিং চলে জামতাড়া জেলায়৷ মূলত এই জামতাড়া জেলায় তাঁর জীবনের ১৮দিন কাটিয়েছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও। কিন্তু এখন সেই জামতাড়াই গোটা একটি বিশেষ মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে পুলিশ বিভাগের কাছে৷ ঝাড়খণ্ডে খুবই সক্রিয় এই জামতাড়া গ্যাং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *