অমিত শাহ মৈত্রী মিউজিয়ামের শিলান্যাস করলেন পেট্রাপোলে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে হিঙ্গলগঞ্জ যান দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে এবং সেখানে দেশের সুরক্ষা অক্ষুন্ন রাখার জন্য সমর্পিত করেন শতলজ্, কাবেরী ও নর্মদা– এই তিনটি ফ্লোটিং বিওপি বা ভাসমান অ্যাম্বুলেন্স।ঘড়ির কাঁটায় ঠিক তপখন দুপুর ১টা। তিনি হেলিকপ্টারে অবতরণ করেন বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তে কালিয়ানিতে। এরপর কালিয়ানি থেকে রাস্তা ধরে আসেন বিএসএফের হরিদাসপুর ১৫৮ নং ব্যাটেলিয়ানে । সেখানে তিনি শিলান্যাস করেন ‘মৈত্রী মিউজিয়াম’-এর এবং বক্তব্য রাখেন প্রহরী সম্মেলনে সেনা জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে। প্রসঙ্গত, মৈত্রী মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রাখা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের ভূমিকা নিয়ে যে সমস্ত তথ্য, স্মৃতি এবং ছবি রয়েছে সেগুলোকেই । মূলত অমিত শাহ সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন বিএসএফের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে । চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ কীভাবে বন্ধ করা যায় আলোচনা করেন এমনকি তা নিয়েও।
মৈত্রী মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রহরী সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, সরকারের দৃষ্টি রয়েছে সুরক্ষা অক্ষুন্ন রাখার জন্য। আমাদের জওয়ানদের শৌর্য ও সমর্পনকে বল বৃদ্ধি করা হচ্ছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর টেকনিক দ্বারা । এই কারণে আজ শতলজ্, কাবেরী। ও নর্মদা– এই তিনটি ফ্লোটিং বিওপি বা ভাসমান অ্যাম্বুলেন্স দেশের জন্য সমর্পিত করা হলো। গর্বের বিষয়, আমি দেশের যেখানে যেখানে যাই সেখানে শুনতে পাই সীমান্তে বাহাদুর সেনা জওয়ানেরা দাঁড়িয়ে আছেন দেশ সুরক্ষিত রয়েছে সেকারণেই। দেশের জনতা ঘুমাতে পারছেন নিশ্চিন্তে। দেশের জনতার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি সেনা জওয়ানদের।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, সাংসদ নিশীথ প্রামানিক ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনীয়া এবং স্বপন মজুমদার।