অজিত-শরদ পৃথক বৈঠক মহারাষ্ট্রের মহানাটকে! আসরে কাকা-ভাইপো ক্ষমতা প্রমাণের লড়াইয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মহারাষ্ট্রের চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার একই দিনে দলীয় নেতাদের নিয়ে পৃথক বৈঠক ডেকেছেন। আজ শারদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার উভয়েই জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এর একটি বড় বৈঠক ডেকেছেন এবং সমস্ত নেতাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। প্রথমে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর বৈঠক হবে। যদি দলের দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কের সংখ্যা (অর্থাৎ কমপক্ষে ৩৬) বৈঠকে জড়ো না হন তাহলে রাজনৈতিক লড়াই আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
মঙ্গলবার অজিত পাওয়ারের বিদ্রোহের পর শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে দিনভর এক দফা বৈঠক চলে। কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) নেতারা এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে তার প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এদিকে আজ বুধবার একই দিনে শরদ ও অজিত পাওয়ার দুটি পৃথক বৈঠক ডেকেছেন। আজ শরদ পওয়ারের শিবির দক্ষিণ মুম্বইয়ে ওয়াইবি চভন সেন্টারে দুপুর ১টায় বৈঠক ডেকেছে। অন্যদিকে, অজিত পওয়ার তাঁর সমর্থনে থাকা বিধায়কদের নিয়ে বান্দ্রায় ইতিমধ্যেই মুম্বই এডুকেশন ট্রাস্টে সকাল ১১টায় বৈঠকে বসেছেন ।
বৈঠকের জন্য, শরদ পাওয়ার শিবিরের পক্ষে চিফ হুইপ জিতেন্দ্র আওহাদ, সমস্ত বিধায়কদের সভায় উপস্থিত থাকতে বলেছেন। অন্যদিকে, অন্যদিকে অজিত গোষ্ঠী সমস্ত বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়ক, সাংসদ, পদাধিকারী, ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য এবং অন্যান্যদের সভায় উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ জারি করেছে। অর্থাৎ পাওয়ার গোষ্ঠীর বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই বিধানসভায় অজিত পাওয়ারের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই শরদ পওয়ারের শিবিরের তরফে অজিত পওয়ার ছাড়া বাকি সকল সাংসদ, বিধায়কদের দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। বিধায়ক পদ রক্ষা করতে এবং নিজের পক্ষে শক্তি দেখাতে অজিত পাওরেরের কমপক্ষে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন থাকতে হবে। যদিও অজিত পাওয়ার দাবি করেছেন তাঁর সমর্থনে রয়েছেন ৪০ জন বিধায়ক।
উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং তার এনসিপি বিধায়করা মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে অজিত পাওয়ার বলেন, ‘কিছুই নতুন নয়। আমরা এবং মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে এর আগেও মন্ত্রিসভায় একসঙ্গে কাজ করেছি। মন্ত্রিসভায় আমাদের অভিজ্ঞতা আছে’। তবে বিজেপি যেভাবে এনসিপি-র বিধানসভা দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছে তার নিন্দা করেছে কংগ্রেস।