সমাজে প্রভাব পড়তে পারে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে আলোচনায় , কেন্দ্র এমনটাই জানালো সুপ্রিম কোর্টে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। ভারতীয় আইনে বিবাহিত পুরুষের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সঙ্গে কোনও ধরনের শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। বিয়ে মানেই কি তাহলে ধর্ষণের ‘লাইসেন্স’? এমন প্রশ্নও উঠেছে বহু বার। এই সংক্রান্ত একাধিক মামলর শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে। আর সেই বিষয়ে শীর্ষ আদালতে আলোচনা হলে, সমাজে তার প্রভাব পড়বে বলে উল্লেখ করল কেন্দ্র। কবে ওই মামলাগুলি শোনা হবে, শুক্রবারই তা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তবে আইনজীবী করুণা নন্দী এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চাইলে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘সমাজে এর প্রভাব পড়তে পারে।’
প্রধান বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে যে সব মামলা চলছে সেগুলি শেষ হলে তারপরই বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলা শোনা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে মামলাগুলি শোনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আইনজীবী করুণা নন্দী প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন, যাতে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য দু দিন সময় দেওয়া হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী, স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও তা ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। এই নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেগুলির শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে দিল্লি হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি এই বিষয়ে দুই ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। সেই মামলারও নিষ্পত্তি হয়নি।
এদিকে, গত বছর কর্নাটক হাইকোর্ট এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হওয়া বৈবাহিক ধর্ষণের মামলায় সম্মতি দিয়েছিল। সেই মামলায় হলফনামাও জমা করেছিল কর্নাটকের তৎকালীন বিজেপি সরকার। সেই সংক্রান্ত মামলাও পড়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গর্ভপাত সংক্রান্ত রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, মেডিক্যাল টার্মিনেশন ও প্রেগন্যান্সি আইন অনুযায়ী, কোনও পুরুষ যদি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ও স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায়।