এক যুবকের সুটকেসবন্দি দেহ উদ্ধার বন্ধুর বাড়ি থেকে , চরম হাড়হিম কাণ্ড নিউটাউনে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : নিউটাউনের তারুলিয়ায় বন্ধুর ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার এক যুবকের দেহ। সেলুটোপ দিয়ে মুখ সাঁটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেহ। মৃত যুবকের নাম সাজিদ হোসেন। বছর উনিশের ওই যুবকের বাড়ি মালদার কালিয়াচক এলাকায়। মাস পাঁচেক আগে নিউটাউনের তারুলিয়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল সাজিদ। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেখানেই অন্য তিনটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত গৌতম সিং। গৌতমের ঘর থেকেই আজ ওই যুবকের সুটকেসবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। যুবককে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গৌতম সিং এবং তার সহকারী পাপ্পু ঘোষকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, গত ৪ তারিখ থেকে সাজিদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর যায় মালদার কালিয়াচকের বাড়িতেও। সাজিদের বাবা কলকাতায় আসেন এবং থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই মতো খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশও। বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেই সময়েই তারুলিয়া এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি মদের দোকান থেকে বেরোচ্ছে সাজিদ। সঙ্গে ছিল গৌতম সিংও। সেখান থেকেই প্রথমে গৌতম সিংকে চিহ্নিত করে পুলিশ এবং তারপর আটক করা হয়।
গৌতমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকায় গৌতমের রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই গৌতমের সঙ্গে পরিচয় সাজিদের। গৌতমের রেস্তোরাঁয় যাতায়াতও ছিল সাজিদের। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে মদ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে সাজিদকে খুন করা হয়েছিল। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে সেলুটোপ জড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে খুনের আগে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারের কাছে এসএমএস-ও করা হয়েছিল বলে খবর। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয়েই খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে অভিযুক্ত গৌতম ওই এলাকায় তিনটি ঘর ভাড়া নিয়ে রেখেছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে বন্ধুদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই পার্টি চলত বলে খবর। সূত্রের খবর, গৌতম নিজেকে অসমের বাসিন্দা ও পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় মালকিনকে বলেছিল, সঙ্গে বান্ধবী থাকবে। তবে জানা যাচ্ছে চার মাস থাকার পর ওই বান্ধবী চলে গিয়েছিল। গত একমাস ধরে গৌতম একাই থাকত সেখানে। অভিযুক্ত গৌতম ও পাপ্পুকে গ্রেফতারের পাশাপাশি আরও দুই বন্ধু ও দুই বান্ধবীকে আটক করেছে পুলিশ।