ঘাসের জঙ্গল চারিদিকে, ভেঙে পড়েছে গাছ, ছবি পাল্টে গেছে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শুরু বেশ কিছুদিন আগেই হয়ে গেছে আনলক পর্ব -৫।এদিকে পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। এমনকি খুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের চিড়িয়াখানাগুলিও। কিন্তু হাওড়া জেলা পরিষদ এখনও পরিষ্কার করেই উঠতে পারল না হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক মিনি জু ও ডিয়ার পার্ক। এখানে এখন চারিদিকে ঘাসের জঙ্গল। যার উচ্চতা প্রায় ৫ থেকে ৭ ফুট। এখনও সরানো হয়নি ঘূর্ণিঝড় উমফানের দাপটে ভেঙে পড়া গাছগুলোকেও। এমনকি লতা পাতার পুরু চাদর বসার জায়গাগুলোতে। গড়চুমুককে এখন আর পর্যটন কেন্দ্র নয়, এক ঝলকে দেখলে মনে হবে জঙ্গল বলেই।
১০৬ একর জমির উপর গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল দামোদর ও ভাগীরথী নদীর ধারে। পর্যটকদের আনাগোনাও লেগে থাকতো প্রায় সারা বছর ধরেই। বিশেষত শীতের সময় বহু মানুষ এখানে ভিড় জমাতেন চড়ুইভাতি করতে। কিন্তু এই পর্যটন কেন্দ্র একরকম বন্ধ হয়ে যায় করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই। এদিকে পর্যটন কেন্দ্রটিকে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো লন্ডভন্ড করে দেয় ঘূর্ণিঝড় উমফান। এমনকি ঝড়ে ভেঙে পড়ে শিশু, সেগুন, মেহগনি-সহ সাড়ে তিনশোর বেশি বড়বড় গাছও। সে সব এখনও পড়ে রয়েছে সেভাবেই। চারিদিক ঢাকা পড়েছে লম্বা লম্বা ঘাস ও আগাছার জঙ্গলে। বেড়েছে এমনকি সাপের উৎপাতও।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আরও জানান, তাঁদের ব্যবসা চালু ছিল এই পর্যটন কেন্দ্রের উপর নির্ভর করেই। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ লকডাউনে তাঁদের হিমসিম খেতে হয়েছে বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করতেও। রাজ্যের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র আস্তে আস্তে খুলে যাওয়ায়, তাঁরাও আশায় ছিলেন খুলে যাবে হয়তো এই কেন্দ্রটিও। কিন্তু তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা না যাওয়ায় তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এলাকার বাসিন্দাদেরও বক্তব্য, পার্ক খোলা থাকলে বাচ্চাদের নিয়ে পার্কে গিয়েও কাটানো যেত কিছুটা একঘেয়েমি। কিন্তু এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না।