প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিং রমরমা কারবার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রশাসনকে কার্যত এক প্রকার বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অলিগলিতে মুড়ি মুড়কির মতো অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কার বার ।পাড়ার মুদির দোকান ও অনেক বসতবাড়িতে কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই সম্পন্ন করা হচ্ছে গ্যাস ভর্তির কাজ ।এইসব পাড়া বা দোকানের সামনে দিয়ে গেলে সবসময় গ্যাসের তীব্র গন্ধের আভাস পাওয়া যায় । তা থেকে যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক ও ভয়াবহ দুর্ঘটনা এ ছাড়াও একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে বিক্রি করে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে এই গ্যাসের চাহিদা প্রচুর । আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি, খরিদ্দার চায় তাই আমরা বিক্রি করি। বাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে বুকিং করেও সময়মতো পাওয়া যায় না, তখন তাদের কে বাজারের এই খোলা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয় । জানি কাজটা বেআইনি ও মারাত্মক বিপদজনক এই কাজ, কিন্তু কি করবো পেট চালাতে হবেতো।’
বুনিয়াদপুর গঙ্গারামপুরে বিভিন্ন পাড়ার দোকানগুলিতে নজর দিলেই দেখতে পাওয়া যায় দিনে দুপুরে চলছে গ্যাস ভর্তির কাজ । এসবকিছুই ঘটে চলেছে প্রশাসনের নাকের ডগায় । তবুও এব্যাপারে তাদের কোনও প্রকার হেলদোল নেই। এক রকমের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন । পরিবেশবিদ বিশ্বপ্রীয় সাহা বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রীত ও অবৈধভাবে গ্যাস রিফিলিং এর কাজটা যেমন খুব ঝুঁকির তেমনি এটা বেআইনি কাজও বটে । জানিনা প্রশাসন সব জেনেও কেন চুপ ? অতি স্বত্তর বেআইনি গ্যাস ভর্তি করার এই বিপদজনক কারবার কে বন্ধ করা দরকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে । এটাও ঠিক যে যারা একাজ করছেন তারা শুধুমাত্র পেটের দায়ে করছেন । বাজারের জিনিষের দাম অগ্নিমূল্য হওয়াতে সংসার চালাতে অনেকেই হীমশীম খাচ্ছেন , তাই তারা এই কাজ করছেন বাড়তি মুনাফা লাভের আশায়। আসলে সর্বোপরি সরকার এর উচিত অর্থনৈতীক ব্যবস্থা ও সঠিক ভাবে দ্রব্যমুল্যের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা।’