পুলিশ আক্রান্ত হল দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে , এমনকি চলল ব্যাপক গোলাগুলিও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কলকাতায় ফের গ্যাংওয়ার ! এদিকে পুলিশও আক্রান্ত হল দুই দল দুষ্কৃতীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৷ এমনকি গুলি ছোড়া হয়। কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে৷ কোনও মতে প্রাণে বাঁচলেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ইটের ঘায়ে জখম হয়ে৷ দক্ষিণ কলকাতার একবালপুর থানা এলাকার ড. সুধীর বোস রোড ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল রবিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে৷ এখনও পর্যন্ত চারজন গ্রেফতার হয়েছে এই ঘটনায়৷ এমনকি মামলাও রুজু করা হয়েছে এই ঘটনায়৷স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত এলাকা দখল এবং এলাকায় অবৈধ নির্মাণকে কেন্দ্র করেই৷ বাসিন্দাদের আরও দাবি, কোনো নতুন নয় এই দুই দল দুষ্কৃতীর মধ্যে বিবাদের ঘটনা৷ কিন্তু তা চরম আকার নেয় রবিবার রাতে৷ একবালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খবর পেয়ে৷ তখনই পুলিশকে পড়তে হয় দুষ্কৃতীদের মারমুখী আক্রমণের মুখে৷ এমনকি, অভিযোগ উঠেছে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয় বলেও৷
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা লাগাতার ইট, পাটকেল ছুড়তে শুরু করে তারা এলাকায় পৌঁছতেই৷পুলিশকর্মীরা যখন ইটের আঘাত থেকে নিজেদের মাথা বাঁচাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই গুলি চলার আওয়াজ শোনা যায়৷ পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল সঞ্জয় পান্ডে নামে একবালপুর থানার এক কনস্টেবলকে লক্ষ্য করেই৷ কিন্তু তিনি প্রাণে বেঁচে যান সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায়৷ আর ঠিক তখনই ইটের খণ্ড উড়ে আসে৷ লাগে সঞ্জয়ের পায়ে ৷ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় আঘাত গুরুতর হওয়ায়৷ রবিবার রাতভর তাঁকে চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রাখেন৷ সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয় সঞ্জয় পান্ডেকে৷
ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে৷ ধৃতরা হল তনবীর আলম, মহম্মদ ইমরান, মহম্মদ জাহিদ এবং ফিরহাদ আলম৷ পাশাপাশি,খোঁজ চলছে আরও অন্তত ছ’জন দুষ্কৃতীর৷ সূত্রের খবর, ধরপাকড় শুরু হতেই তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে৷ কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে৷