পথশিশুদের ‘রোলকাকু’ স্বপ্ন দেখেন কলকাতা জুড়ে বিনে পয়সার Roll-on-Wheels এর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’। সপ্তাহান্তে রেষ্টুরেন্ট গিয়ে যাদের ভালো মন্দ খাবার জোটে, এই বাক্যটার হয়ত আলাদা কোনও অর্থ বেরোয় না সেরকম অধিকাংশের কাছে৷ তবে এর মর্ম বোঝে একমাত্র কলকাতার ফুটপাথ। ক্ষিদের জ্বালা ঠিক কীভাবে পূর্ণিমার চাঁদের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়, তাঁরা তাও বোঝেন। আর পথিকৃৎ মহানগরীকে পথ দেখাচ্ছেন এই ক্ষিদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতেই। একদা জোম্যাটো ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করতেন বর্তমানে পেশায় র্যাপিডো চালক পথিকৃৎ সাহা । আর তখন থেকেই লড়াই শুরু, অনাহারের বিরুদ্ধে যা কিনা এখন পৌঁছেছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাতেও।
শুরুটা অবশ্য হয়েছিল দমদম ছাতাকল এলাকার এক ফাস্টফুডের দোকানের ‘রোলকাকু’কে দেখে। তৎকালীন জোম্যাটো ডেলিভারি বয় পথিকৃৎ সাহা পথশিশুদের সাহায্য করতে নামেন তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেই। খেয়াল করেন, প্রতি সপ্তাহে জোম্যাটোর মাধ্যমে বাতিল হয় নয় নয় করেও ২০-২১টি অর্ডার। খাবার প্রস্তুত করার সময় অর্ডার ক্যান্সেল হলে জোম্যাটো সেই খাবারের দামের ৮০ শতাংশ দোকান মালিককে দিয়ে দেয়। আর খাবার তৈরির পর বাক্সে ভরা হলে যদি বাতিল হয়, সেক্ষেত্রে জোম্যাটো পুরো দামটাই দোকানদারকে দেয়। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে দোকানমালিকরা কম দামে ওই খাবার বিক্রি করে দেন অন্য ক্রেতা কিংবা জোম্যাটো বয়দেরই।
কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম হয়ে ওঠেন দমদমের একটি ফাস্টফুড সেন্টারের মালিক৷ পথিকৃৎ-এর হাতে বিনামূল্যে ওই রোল দিয়ে দিতেন মধ্য বয়স্ক এই ব্যবসায়ী৷ আর এই বিনামূল্যে পাওয়া রোলগুলি নিয়ে পথিকৃৎ পৌঁছে যেতেন দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের প্লাটফর্মে ও সংলগ্ন ফুটপাতে থাকা শিশুদের কাছে। সপ্তাহের বেশ কয়েকটি দিন পথিকৃৎ-এর শিশুগুলির মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয় এভাবেই। এভাবেই ধীরে ধীরে পথিকৃৎ রোলকাকু হয়ে ওঠে ফুটপাতের বাচ্চাদের কাছে।এমনকি তিনি স্বপ্ন দেখেন কলকাতা জুড়ে বিনে পয়সার Roll-on-Wheels এরও