পহেলিবার দেখা আপ জ্যায়সা গভর্নর ’, একবালপুরের বাসিন্দারা রাজ্যপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হনুমান জয়ন্তীতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হনুমান জয়ন্তীতে সম্প্রীতির বার্তা রাজ্যপালের। সকালে লেকটাউনের হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে গেলেন একবালপুরে। এমনকি রাজ্যপাল কথাও বললেন ছোট্ট স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে ফল, মিষ্টি বিক্রেতা ও অন্যদের সঙ্গে । এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারাও বেশ খুশি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই বিশেষ তৎপরতায় । তাঁরা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ভরিয়ে দিলন প্রশংসায়।
এদিন এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বিশদে জানতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও একবালপুরে মোতায়েন পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও রাজ্যপাল কথা বলেছেন। এছাড়াও এদিন একবালপুর থেকে বেরিয়ে রাজ্যপালের কনভয় রওনা দেয় পোস্তার উদ্দেশে। সেখানেও একইভাবে গাড়ি থেকে নেমে রাজ্যপাল স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সরবতের দোকানে গিয়ে গলাও ভিজিয়েছেন তিনি । এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও।
উল্লেখ্য ,এই প্রথম কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে বঙ্গে হনুমান জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। বাংলার ইতিহাসে এই ঘটনা সত্যিই নজিরবিহীন। এর আগে কোনও উৎসব পালন করতে শেষ কবে ভিনরাজ্য থেকে আধাসেনাকে বাংলায় উড়িয়ে আনতে হয়েছে, তা কেউই মনে করতে পারছেন না। রামনবমীর পর হনুমান জয়ন্তীতেও হিংসার আশঙ্কা করে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যে। এক কোম্পানি বাহিনী রয়েছে কলকাতা শহরে। মধ্য ও উত্তর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে জওয়ানদের।
প্রসঙ্গত ,এর আগে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা-বিধ্বস্ত রিষড়ায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার হনুমান জয়ন্তীতে জনসংযোগে কলকাতার রাজপথে রাজ্যপাল। ঘুরে দেখলেন একবালপুর, পোস্তা। তারও আগে আজ সকালে লেকটাউনের একটি হনুমান মন্দিরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পুজো দিয়ে একটু বেলা হতেই তিনি পৌঁছে যান একবালপুরে। সংখ্যালঘু অধ্যূষিত এই এলাকাতেও মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী, জারি রুটমার্চ। একইসঙ্গে এই এলাকায় নজরদারিতে রয়েছে কলকাতা পুলিশও।