ভয়ঙ্কর ‘নরবলি’ কামাখ্যা মন্দিরে , একাধিক অভিযুক্ত আটক হল হুগলির বাসিন্দা এক মহিলাকে খুনের ঘটনায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মহিলার মৃতদেহ দেহ পড়েছিল খোদ মন্দিরের মধ্যেই । মাথা থেকে ধড় সম্পূর্ণ আলাদা। চারদিকে চাপ চাপ রক্ত। আশেপাশে বেশকিছু পুজোর সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তদন্তকারী অফিসার এক ঝলক দেখেই বুঝে গেছিলেন এটি ‘নরবলি’ ঘটনা। ওই মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে পরিকল্পনা করে। ২০১৯ সালের ঘটনা। পাঁচ বছর ধরে টানা তদন্ত চালিয়ে অবশেষে অসম পুলিশ কামাখ্যা মন্দিরে চাঞ্চল্যকর নরবলি তদন্তের জাল গুটিয়ে আনল। মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে জানানো হয়, এই খুনের ঘটনায় ধৃত মোট ৯ জন।

অসম পুলিশ জানিয়েছে , ২০১৯ সালে কামাখ্যার জয় দুর্গা মন্দিরে যে মহিলাকে নরবলির নামে পরিকল্পিত খুন করা হয়েছিল, তাঁর নাম শান্তি শ। তিনি পশ্চিমবঙ্গ নিবাসী। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার তাঁতিপাড়ায়। অম্বুবাচী মেলা উপলক্ষ্যে শান্তি শ কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন। এদিকে সুরেশ শ নামে এক ব্যক্তি তিনি নিখোঁজ এই মর্মে গুয়াহাটির জালুকবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে কামাখ্যা থেকে যে মহিলার দেহ মিলেছিল তাঁকে মা বলে শনাক্ত করেছিলেন সুরেশ শ।

অসম পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয় শান্তি শ’কে খুনের পর থেকেই ।এমনকি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয় ‘নরবলি’ রহস্য সমাধানে । টানা তদন্ত চালিয়ে অবশেষে রহস্য সমাধান করা গেছে। এমনকি সম্ভব হয়েছে এই নরবলির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা। অসম পুলিশ এও জানিয়েছে প্রদীপ পাঠক নামে এক ব্যক্তি একটি পুজোর আয়োজন করছিলেন তার ভাইয়ের স্মরণে। তিনি এই নরবলির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রদীপ পাঠককে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাতাপ্রসাদ পান্ডে নামে আরেকজনকে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে আর সুরেশ পাসোয়ান, কানু আচার্জি এবং ভাইয়ারাম মাওরিয়াকে গুয়াহাটি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *