ধৃত জঙ্গিরারা অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিল পাকিস্তানে, ঘনিষ্ঠ যোগ এমনকি দাউদ ও বাংলাদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গেও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল পর্দা ফাঁস করেছে ভারতে বড়সড় পাক মডিউলের। দিল্লি পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস) ছ’জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে অভিযান চালিয়ে। গোয়েন্দা অফিসাররা এও বলছেন, খোঁজ মিলেছে এই মডিউলের মাথারও।দুবাইতে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে সে ও তার শাগরেদ।জানা গেছে দুবাই পুলিশই তাদের তুলে দেবে ভারতের হাতে। এর পাশাপাশি, ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে, বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদিনের যোগসূত্র আছে তাদের সঙ্গে।

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল আরও জানাচ্ছে, এই ছ’জনের দেশে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক ছিল এমনকি গণেশ চতুর্থীর দিনেই। সামনেই আসছে একাধিক উত্‍সবও। এদের পাঠানো হয়েছিল দেশের নানা প্রান্তে জঙ্গি মডিউল তৈরি করার জন্যই। জানা গেছে ধৃতরা মূলত দিল্লি ও লখনৌয়ের বাসিন্দা। যে ৬ জন ধরা পড়েছে তাদের নাম শেখ ওরফে সমীর ওসামা (২২), মূলচাঁদ (৪৭), মহম্মদ আবু বকর (২৩), জিশান কামার (২৮) ও মহম্মদ আমির জাভেদ (৩১)। লখনৌ থেকে মাসকটে গিয়েছিল এই ছ’জন জঙ্গি। সেখান থেকে পাকিস্তানে গিয়েছিলো সমুদ্র ও স্থলপথ ধরে। গোয়েন্দা অফিসাররা বলছেন, জঙ্গিরা বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয় পাকিস্তানে গিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কাছে। তাদের এমনকি দেওয়া হয় বিস্ফোরক তৈরি, অস্ত্র চালনা, ‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি)-র ট্রেনিংও।

উল্লেখ্য, ধৃত ছ’জন জঙ্গি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটনোর ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল আসন্ন দশেরা এবং দীপাবলীর সময়। ওসামা এবং জিশানকে আইএসআই এ জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। জানা গেছে ধৃতরা পাকিস্তানের স্লিপার সেলের সক্রিয় সদস্য বলেও। তদন্তকারীরা বলছেন, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রান্ত এই জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গি যোগও তাদের বেশ ভাবাচ্ছে। ধৃতদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেয় দিল্লির বাসিন্দা ওসামা ওরফে শামি এবং প্রয়াগরাজের জিশান কামার।

তদন্তকারীরা আরও বলছেন, ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে, এদের অনেকেই আগে দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানির হয়ে কাজ করত। মূলচাঁদ ও সমীর ডি-কোম্পানির হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের কাজ করত। সেখান থেকেই তাদের বেছে নেয় পাক আইএসআই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *