অপরাধীরা থাকে ‘দলুয়াখাকিতে’, তুমুল বিতর্ক মন্ত্রী ফিরহাদের বক্তব্যে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : দলুয়াখাকি নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের কথায়, “দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালরা থাকে। তাই সেখানে বাম, কংগ্রেস, অন্যরা গিয়েছিল। আমি কেন ওই বাড়িগুলিতে যাব?” রাজ্যের মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্য ঘিরে দানা বেধেছে বিতর্ক।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের একটি গ্রাম দলুয়াখাকি। সে গ্রামেই সপ্তাহখানেক আগে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হয়েছিলেন যেদিন, পরদিনই দলুয়াখাকিতে গ্রামের সিংহভাগ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুড়ে খাক হয়ে যায় গ্রাম। গ্রামেরই এক বাসিন্দাকে সইফুদ্দিন-খুনে যুক্ত থাকার সন্দেহে পিটিয়ে মারারও অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে দলুয়াখাকি।

রবিবার জয়নগরে যান ফিরহাদ হাকিম। নিহত সইফুদ্দিন লস্করের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন পরিবারের সঙ্গে। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। তবে জয়নগর যাওয়ার আগেই কলকাতায় দাঁড়িয়ে ফিরহাদ বলে যান, তিনি দলুয়াখাকিতে কেন যাবেন? সেখানে ‘ক্রিমিনাল’দের বাস বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী। ফিরহাদের কথায়, “দলুয়াখাকিতে কিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, গ্রামে কিছু হয়নি। ক’টা বাড়ি ভাঙা গুরুত্বপূর্ণ নাকি মানুষের প্রাণটা? দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনাল থাকে। ওখানকার একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি মারপিটের সমর্থন করি না, ভাঙচুরের সমর্থন করি না। কারা করেছে জানিও না। কিন্তু রাজনীতি হবে কেন? একটা ছেলের প্রাণ গিয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুন। ওদের এলাকার সব মানুষ জানে। গত তিনমাসে যা খুন হয়েছে, তৃণমূল তৃণমূলকে মেরেছে।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “বগটুইয়ের মতো যে গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হল, সে গ্রামে উনি যাবেন না? উনি তো মন্ত্রী। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। বাইকে যে পাঁচজন গিয়েছে তারা কারা? প্রকৃত তদন্ত ও শাস্তি চাই।”

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অপরাধীরা থাকে ‘দলুয়াখাকিতে’, তুমুল বিতর্ক মন্ত্রী ফিরহাদের বক্তব্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *