‘অবসাদ, আত্মহত্যা কোনো হাসির খোরাক নয়’, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিস্ফোরক টুইট মোদীর মন্তব্যকে ঘিরে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সদ্য এক সভায় আত্মহত্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যকে টার্গেট করে কড়া টুইট বার্তায় চরম আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মূলত নিশানা করেন একটি আত্মহত্যার নোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মজার ছলে করা এক মন্তব্যকে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে ও তাঁর কথায় যাঁরা হাসছেন, শিক্ষিত হওয়া উচিত তাঁদের নিজেদেরও ।এমনকি তাদের বোঝা উচিত যে, মানসিক স্বাস্থ্যকে নিয়ে কটাক্ষ করাটা খুবই অমানবিক বিষয় । উল্লেখ্য, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, একটি চ্যানেলের শোতে গিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের ভিডিয়ো ঘিরেই এই বার্তা সামনে আসে।

উল্লেখ্য, মোদীর যে মন্তব্য নিয়ে প্রিয়াঙ্কা সরব হয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে, অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী বলছেন, কীভাবে একজন অধ্যাপকের হাতে একটি সুইসাইড নোট পড়েছিল, আর তিনি পড়ার সময় কী দেখতে পেয়েছেন। সুইসাইড নোটটিতে লেখা বানানের ভুল নিয়ে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মন্তব্যে হাসতে দেখা যায় অনেককেই। এরপর সেই চ্যানেলের ভিডিয়োতে মোদীর মন্তব্যের ক্লিপ পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কথা বলেন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি নিয়ে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন যে চ্যানেলের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন, সেই চ্যানেলের সম্পাদকের হিন্দি উচ্চারণ ও বলার দক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে । এদিকে, মোদীর ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এও লেখেন, ‘অবসাদ ও আত্মহত্যা বিশেষত যুবকদের মধ্যে কোনও হাসি ঠাট্টার জিনিস নয়। এনসিআরবির তথ্য অনুসারে ১৬৪০৩৩ জন ভারতীয় আত্মহত্যা করেছেন ২০২১ সালে। তার মধ্যে একটি বড় অংশ ৩০ বছর বয়সের নিচে। এটি অত্যন্ত দুঃখের ঘটনা। কোনও মজার জিনিস নয়।’

প্রিয়াঙ্কা তাঁর মন্তব্যের সঙ্গেই ওই টুইটটি ট্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্যের টুইট ট্যাগ হয়েছে ‘দ্যা লাইভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন’ এর সঙ্গে। উল্লেখ্য, আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভা ভোট ঘিরে কংগ্রেস বনাম বিজেপি সংঘাত আরও চরমে উঠেছে। তার আগে, ২০১৯ সালে কর্ণাটকের এক সভায় রাহুল গান্ধীর মোদী পদবী নিয়ে মন্তব্যের জেরে একটি ফৌজদারি মানহানি মামলা দায়ের হয়। রাহুল গান্ধী দোষী সাব্যস্ত হন যে মামলার জেরে, ২ বছরের সাজা হয়। পরে খারিজ হয় রাহুলের সাংসদ পদও ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *